প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
পান চাষে বিখ্যাত হাইমচর উপজেলা। এ উপজেলার কৃষকদের অন্যতম অর্থকরী ফসল এই পান। কিন্তু গত ক’দিনের তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে হাইমচরে পানপাতায় পচন ধরেছে। হলুদ বর্ণ হয়ে ঝরে পড়ছে পান। এরই মধ্যে পান বরজে বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে হাজারো পান চাষি।
হাইমচরে পানের সুনাম রয়েছে। পান চাষ লাভজন হওয়ায় এলাকার মানুষ পান চাষের আয়তন বাড়িয়ে চলেছে। কিন্তু সেই পান চাষিরা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। পৌষ আর মাঘের তীব্র শীত আর ঘনকুয়াশা পান বরজকে ক্ষতির মুখে ফেলেছে। বরজে লতার সাথে পানপাতা হলুদ বর্ণ হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। মাটিতে ঝরে পড়ছে পানপাতা। বরজের উপরে ঘন ছাউনি আর চার পাশে পলিথিন দিয়ে ঘিরে রেখেও পানপাতা রক্ষা করতে পারছে না চাষিরা। পানপাতা হলুদ বর্ণ হয়ে ঝরে পড়ার কারণে চাষিরা পানের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না।
পান বরজ ক্ষতির মুখে পড়ায় চাষিরা হতাশায় ভুগছে। হাইমচর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের পান বরজে ঘুরে ক্ষতির একই চিত্র দেখা গেছে।
কৃষি বিভাগ বলছে, তীব্র শীত আর ঘনকুয়াশার কারণে ক্ষতির মুখে পড়ছে পান চাষিরা। তারা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সরকারি প্রণোদনার দাবি জানিয়েছে। কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, হাইমচর উপজেলায় তিনশ’র বেশি চাষি পান চাষি রয়েছে।
পান চাষিরা জানান, বছরজুড়ে বরজে লতায় পান পাতা ধরতে থাকে। অধিক লাভের আশায় শীতের দুই মাস আগে থেকে বরজ থেকে তারা পান তোলে না। কিন্তু এ বছর শীত আর কুয়াশার কারণে বরজে পানপাতা নষ্ট হচ্ছে। লাভ তো দূরের কথা খরচের টাকা উঠছে না।
পান ব্যবসায়ীরা জানান, পানের পাতা হলুদ হয়ে যাওয়ার কারণে পাইকাররা পান ক্রয় করতে চায় না। এ কারণে বাধ্য হয়ে চাষিরা কম দামে পান বিক্রি করছে।
হাইমচর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ দেলোয়ার হোসেন জানান, তীব্র শীত আর ঘনকুয়াশার কারণে পানের বরজে রোগবালাই দেখা দিয়েছে। ছত্রাকনাশক ওষুধ ব্যবহারের জন্যে পান চাষিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
আরও ৩৩ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৮০১৬
করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৭০৩ জনে।
একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ১৬ জনের। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৭১ জনে। শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার জানানো হয়, আগের ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ জনের মৃত্যু হয়; শনাক্ত হন ৮ হাজার ৩৫৪ জন; শনাক্তের হার ছিল ২০ দশমিক ০৩ শতাংশ।
বুধবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৭২৫ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৬ লাখ ৩৩ হাজার ৫৮২ জন।
২৪ ঘণ্টায় ৪২ হাজার ৭৮৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৪২ হাজার ৫৬৪টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ, ৯ জন নারী। ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ১৫ জন। চট্টগ্রামে ৬, রাজশাহীতে ৪, খুলনায় ২, বরিশালে ১, সিলেটে ২, রংপুরে ১ ও ময়মনসিংহে ২ জন মারা গেছেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। গেল বছরের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।