মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০

সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একুশ লাখ টাকার জমি দুই লাখ টাকা দেখিয়ে রেজিস্ট্রি
ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি ॥

ফরিদগঞ্জে একুশ লাখ টাকা মূল্যের ক্রয়কৃত জমি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দুই লাখ টাকা মূল্য দেখিয়ে রেজিস্ট্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক দলিল লিখকের বিরুদ্ধে। জমি ক্রেতা একুশ লাখ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে দলিল লিখকের কাছে সরকারি রাজস্ব জমা দিলেও ঐ দলিল লিখক প্রতারণা করে দুই লাখ টাকা মূল্য দেখিয়ে সে হারে রাজস্ব জমা দিয়ে রেজিস্ট্রি করেন। বছর দুয়েক পর মূল দলিল গ্রহণ করার পর জমি ক্রেতার কাছে বিষয়টি ধরা পড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রী অফিসে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে রেজিস্ট্রিকৃত ওই দলিল ও ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার ৫নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের সৌদি প্রবাসী মোঃ ফখরুল ইসলামের স্ত্রী ববিতা বেগম ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার আল-কায়েত গং থেকে পৌর এলাকার কেরোয়া মৌজায় ৩ শতক জমি ২১ লাখ টাকা মূল্যে ৫৯২৫/১৬নং দলিল মূলে খরিদ করেন। ওই জমির দলিল করার জন্য ক্রেতা ববিতা বেগম তার পাশর্^বর্তী এলাকার দলিল লেখক আরিফ হোসেনকে দায়িত্ব দেন। এ সময় ববিতা বেগম একুশ লাখ টাকা মূল্যের বিপরীতে যথার্থ রাজস্বসহ সর্বমমোট দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা দলিল লেখক আরিফ হোসেনকে বুঝিয়ে দেন। কিন্তু আরিফ হোসেন দলিলটি একুশ লাখ টাকা দেখিয়ে নকল হিসেবে একটি কম্পোজ কপি ববিতা বেগমকে দিয়ে কৌশলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ববিতার অনুপস্থিতিতে ওই দলিলের উপর পাতায় একুশ লাখ টাকার স্থলে ২ লাখ টাকা দেখিয়ে সরকারকে মোটা অংকের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দলিলটি রেজিস্ট্রি করেন। পরবর্তীতে ববিতা বেগমের হাতে মূল দলিলটি আসলে তিনি বুঝতে পারেন তার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগী ববিতা বেগম দলিল লেখক আরিফের সাথে যোগাযোগ করলে এর সমাধান করে দিবেন বলে ভুক্তভোগীদের আশ^াস প্রদান করে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছেন। এদিকে এই দলিল দিয়ে অফিসিয়াল বিভিন্ন কাজ করতে গিয়ে অনেক হয়রানির শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানা যায়।

বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী ববিতা বেগম বলেন, আমি একুশ লাখ টাকা দিয়ে পৌরসভায় ৩শতাংশ সম্পত্তি কিনেছি। ওই সম্পত্তির রেজিস্ট্রি খরচ বাবদ দলিল লেখক আরিফ হোসেনকে দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা দিয়েছি। আরিফ হোসেন আমার অজান্তে প্রতারণা পূর্বক সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার উদ্দেশ্যে একুশ লাখ টাকা মূল্যে রেজিস্ট্রি করার কথা থাকলেও ২ লাখ টাকা দেখিয়ে রেজিস্ট্রি করে। মূল দলিল আসলে আমি জানতে পারি সে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আমার এত বড় ক্ষতি করেছে, আমি সরকারের কাছে বিচার চাই।

অভিযুক্ত দলিল লেখক আরিফ হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি ‘ববিতা বেগমকে বলেন সে পারলে আমার নামে মামলা করতে। বলে দাম্ভিকতা প্রকাশ করেন।

এদিকে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি হাসান রাজা পাটওয়ারীর সাথে কথা বলতে গেলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

বিষয়টি নিয়ে ফরিদগঞ্জের সাব-রেজিস্ট্রার আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, দলিলটি ২ লাখ টাকা মূল্যে রেজিস্ট্রি হয়েছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগের বিষয়টি আমি জেনেছি, দলিল লেখক সমিতির নেতৃবৃন্দ ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করছেন। তবে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একুশ লাখ টাকা মূল্যে জমিটি রেজিস্ট্রি হলে মোটা অংকের রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা পড়তো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়