প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
ক্রেতাদের কাছে ইলিশের চাহিদা সারা বছরই থাকে। তবে এ বছর ক্রেতাদের সাড়া পাচ্ছে না মৎস্য ব্যবসায়ীরা। চাঁদপুরের সর্ববৃহৎ বড়স্টেশন মাছঘাটে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। ইলিশ নিয়ে বসে অলস সময় পার করছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, দাম নাগালের বাইরে থাকায় ইলিশ কিনতে অনাগ্রহ তাদের।
সরেজমিন মাছঘাটে দেখা গেছে, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ চাঁদপুর মাছঘাটে আসছে প্রতিদিন। অন্যান্য বছর এ সময় আড়তে ক্রেতা থাকলেও এবার পুরো আড়ত ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ মণ বিক্রি হয় ৩২ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। আর এক কেজি বা তার ওপরের ইলিশের মণ ৪২ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে করোনার কারণে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। ফলে অনেকেই জেলার বাইরে থেকে চাঁদপুরে আসছে না। যার প্রভাব পড়েছে ইলিশের আড়তে। বিক্রেতাদের আক্ষেপ, ইলিশ, চিংড়ির চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে না। একে তো বিক্রি কম, তার ওপর মাছ সংরক্ষণ করতে গিয়ে খরচ হচ্ছে বেশি।
মাছঘাটে মাছক্রেতা সফিউল ঢাকা পোস্টকে বলেন, চাঁদপুর মাছঘাটে ইলিশ কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু দাম অনেক বেশি। ইলিশের সাইজ খুবই সুন্দর। তবে দাম কিছু কম হলে ইলিশ কেনা যেত।
মৎস্য ব্যবসায়ী রুবেল গাজী বলেন, আড়তে বড় বড় সাইজের ইলিশ আছে, তবে কেক্রাতের চাহিদা নেই। ইলিশের দাম একটু বেশি। এ বছর মাছের আমদানি কম। প্রতিদিন ২০ হাজারও বিক্রি করতে কষ্ট হয়।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শবে বরাত সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমান সময়ে ইলিশের আমদানি কম, বিক্রিও কম। যে কারণে দাম একটু বেশি। জাটকা রক্ষা মৌসুম শেষ হলে ইলিশের আমদানি বাড়বে। ওই সময় দামও কমে আসবে। সূত্র : ঢাকা পোস্ট।