রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

কল্যাণপুরে পাঁচ বছর যাবৎ চলছে ১০ টাকা কেজি চাল বিতরণে অনিয়ম
স্টাফ রিপোর্টার ॥

চাঁদপুর সদর উপজেলার ৩নং কল্যাণপুর ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ১০ টাকা কেজি চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘ ৫ বছর এ অনিয়ম চলছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা। কল্যাণপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ১০ টাকা কেজি দরে চালের পরিবেশক মেসার্স মিতু এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ নজরুল ইসলাম গাজী এ অনিয়ম করে আসছেন বলে জানা যায়।

প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে, কল্যাণপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০টাকা কেজি দরে চালের সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৪৭৬ জন। এদের মধ্যে ১০০ জনের কার্ড বিগত ৫ বছরে বিতরণ না করেই তাদের নামের বছরে ৩ হাজার কেজি চাল বেশি দামে বাজারে বিক্রি করে আসছে। এছাড়া প্রত্যেক কার্ডধারী সুবিধাভোগীদের ৩০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন অজুহাতে তাদেরকে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করে আসছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী জানান, বিগত প্রায় সাড়ে ৫ বছর পূর্বে আমরা ইউনিয়নের ৪৭৬জন সুবিধাভোগীর নাম সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর জমা দেই। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থেকে খাদ্য অধিদপ্তর হয়ে পরিবেশকের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের কার্ড বিতরণের জন্য বলা হয়। তারা সকল কার্ড বিতরণ না করে শতাধিক কার্ড সরিয়ে ফেলে বিগত ৫ বছরে প্রত্যেকবার জনপ্রতি ৩০ কেজি করে চাল আত্মসাৎ করে। বর্তমানে নতুন করে কার্ড ইস্যুর প্রক্রিয়াকালে বিষয়টি আমাদের নজরে আসে এবং আমরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করি।

এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন কল্যাণপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ খোরশেদ আলম খান। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, প্রত্যেক সুবিধাভোগী সরকারের সিদ্ধান্ত মতে ১০টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল পাওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে ২০ থেকে ২২ কেজি করে চাল দেয়া হয়। এছাড়া প্রত্যেকবার ১০০ থেকে ১২০ জন সুবিধাভোগী চাল পাচ্ছেন না বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য চালের পরিবেশক মোঃ নজরুল ইসলাম গাজীর সাথে কথা বললে তিনি খারাপ আচরণ করেন এবং তাকে হুমকি দেন বলেও তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন। উদ্বৃত্ত চাল সুবিধাভোগীদের না দিয়ে বেশি দামে বাজারে বিক্রি করছেন বলে তিনি জানান।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়