প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০
ফরিদগঞ্জে জেলে অনাথ হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে জেলহাজতে থাকা ফরিদগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক, দাসপাড়া যুবসংঘের সহ-সভাপতি শ্রীকৃষ্ণ দাস মায়ের মৃত্যুজনিত কারণে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ অনুমতি নিয়ে প্যারোলে মুুক্তি পেলেন। গতকাল তাকে এ মুক্তি দেয়া হয়। জেলে অনাথ দাস খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে চাঁদপুর পিবিআই। লাশ উদ্ধারের পাঁচদিনের মধ্যে রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয় তারা।
জানা গেছে, জেলে অনাথ দাস হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে গত ৪ মাস ধরে কারাভোগ করছেন ফরিদগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও দাসপাড়া যুবসংঘের সহ-সভাপতি শ্রীকৃষ্ণ দাস। তার মা বিমলা সুন্দরী বৃহস্পতিবার সকালে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন।
পরে মৃত মায়ের সৎকারের জন্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জনা খান মজলিশের কাছে আবেদন করে তার পরিবার। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিশেষভাবে ৫ ঘন্টার জন্যে প্যারোলে মুক্তি দেন শ্রীকৃষ্ণ দাসকে। পরে তাকে নিয়ে পুলিশের একটি বিশেষ টিম বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ফরিদগঞ্জ পৌরসভার দাসপাড়ায় এসে পৌঁছে। পরে শ্মশানে নিয়ে গিয়ে মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন।
এদিকে প্যারোলে শ্রীকৃষ্ণ দাসের মুক্তির কথা শুনে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে লোকজনকে ভিড় করতে দেয়া যায় দাসপাড়া এলাকায়।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৯ জুলাই উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের খুরুমখালী গ্রামের জেলে অনাথ দাস বাড়ি থেকে বের হওয়ার ৭ দিন পর তার লাশ কড়ৈতলী গ্রামের একটি খালে পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় নিহত অনাথ দাসের ছেলে সুভাষ দাস বাদী হয়ে ২৫ জুলাই মামলা দায়ের করলে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ওই রাতেই সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে ফরিদগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক, দাসপাড়া যুবসংঘের সহ-সভাপতি শ্রীকৃষ্ণ দাসকে আটক করে। পরে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করে। ইতিমধ্যেই ওই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত সুবল দাসসহ ৪জন আটক হয়। সুবল দাস ও সোহাগ নামে দুজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। যদিও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে কোথাও শ্রীকৃষ্ণ দাসের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।
এদিকে শ্রীকৃষ্ণ দাসকে প্যারোলে মুক্তিদানে সার্বিক সহযোগিতার জন্যে দাসপাড়া যুব সংঘের পক্ষ থেকে জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পিপি রনজিত রায় চৌধুরীর প্রতি কৃতজ্ঞরা জ্ঞাপন করেছেন।