মায়ের সাথে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলো শিশু ইব্রাহিম খলিল (৮)। সড়কের বিপরীত পাশ থেকে ব্যাটারিচালিত একটি অটোবাইক ইব্রাহিমকে চাপা দেয়। এতে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয় শিশুটি। সাথে সাথে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ১৩ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যার আগে হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের বাকিলা-চাপাতলি সড়কের সন্না গ্রামের কানির বাড়ি এলাকায়। ইব্রাহিম খলিল মধ্য সন্না খান বাড়ির মাওলানা ইলিয়াস খাঁর একমাত্র সন্তান।

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সন্না গ্রামের মৃত সেরাজল হকের ছেলে সফিকুর রহমান জানান, শিশুটি স্থানীয় ফুলছোঁয়া মাদ্রাসার ছাত্র। সন্ধ্যার কিছু আগে শিশুটিকে তার মা মাদ্রাসায় দিয়ে আসার জন্য নিজেদের বাড়ির সামনে সড়কের পাশে এসে দাঁড়ান। কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই সড়কের বিপরীত দিক থেকে ব্যাটারি চালিত একটি অটোবাইক এসে শিশুটির ওপর উঠিয়ে দেয়। এ সময় আমরা অটোবাইকটিকে উল্টে ধরে তার নিচ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে সেখানে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

শিশুটিকে উদ্ধারকারী আরেক প্রত্যক্ষদর্শী সন্না গ্রামের মোল্লা বাড়ির রহিম বক্স মোল্লার ছেলে ইউনুস মোল্লা জানান, ঘাতক অটোবাইকের মধ্যে থাকা যাত্রীরা আমাদেরকে বলেন, অটোবাইক চালক মোবাইলে কথা বলতে গিয়ে গাড়িটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে সড়কের বিপরীত পাশে মায়ের পাশে দাঁড়ানো শিশুটিকে চাপা দেয়।

অটোবাইক চালক মধ্য সন্না মিজি বাড়ির মৃত ইদ্রিস মিজির ছেলে ইউনুস মিজি (৫০)। সে ঘটনার পর পর পালিয়ে যায়। তবে অটোবাইকটি স্থানীয়রা আটকিয়ে রেখেছে।

দুর্ঘটনায় শিশু মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধারের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আর দুর্ঘটনা কবলিত অটোবাইকটি নিয়ে আসার জন্য লোক পাঠানো হয়েছে।