প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুরে রাতের আঁধারে খামারীর হাত-পা বেঁধে ৬টি গরু নিয়ে গেছে ডাকাত দল। ৭ নভেম্বর রোববার দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার সময় চাঁদপুর সদর উপজেলার ৮নং বাগাদী ইউনিয়নের বাহ্মণসাখুয়া গ্রামের গাজী বাড়িতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এমন ডাকাতির ঘটনায় নিঃস্ব হয়ে পড়ে অসহায় একটি পরিবার।
ভুক্তভোগী খামারী মিজান গাজী (৫০) জানান, তারা ভাই-বোনেরা মিলে অনেক স্বপ্ন নিয়ে লোন উঠিয়ে অনেক ঋণ করে কয়েকটি গরু ক্রয় করে একটি খামার দেন। রোববার দিবাগত রাত ১টা থেকে আড়াইটার মধ্যে একটি পিকআপ ভ্যানে করে একদল ডাকাত সাইরেন বাজিয়ে তাদের বাড়ির সামনে আসে। গভীর রাতে এমন সাইরেনের শব্দ শুনে অনেকেই মনে করেছেন অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী আনা হয়েছে। তিনি জানান, তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ডাকাত দল তাদের খামারে ঢুকে পড়ে। এ সময় ৩ জন মুখোশ পরা ডাকাত দড়ি এবং লুঙ্গি দিয়ে তার হাত-পা বেঁধে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এর ফাঁকে অন্য ডাকাত সদস্যরা খামারের তালা ভেঙ্গে খামারে থাকা বিভিন্ন রংয়ের ৪টি বড় গরু ও ২টি বাছুর নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য হবে প্রায় ৫লাখ ৫০ হাজার টাকা।
ভুক্তভোগী মিজান গাজীর বোন হালিমা বেগম কেঁদে কেঁদে বলেন, জীবন-জীবিকার তাগিদে আমরা ভাই-বোনেরা মিলে অনেক কষ্ট করে সরকারি বিভিন্ন ব্যাংক এবং সমিতি থেকে লোন নিয়ে অনেক টাকা ঋণ করে একটি খামার দিয়েছি। কিন্তু ডাকাতরা খামারে থাকা ৬টি গরু ডাকাতি করে নিয়ে আমাদের সব স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়ে নিঃস্ব করে দিয়েছে। আমাদের গরুগুলো ফিরে পেতে আমরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
ওই এলাকার শান্ত খান, আব্দুল আজিজ খান, আইয়ুব আলী গাজী, রিনা বেগম, মর্জিনা বেগমসহ একাধিক ব্যক্তি ডাকাতির বিষয়ে একই কথা জানান। তারা জানান, এর কিছুদিন পূর্বেও গাছতলা এবং ফরাক্কাবাদেও ১১টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। এমন ডাকাতির ঘটনায় ওই গ্রামের লোকজন কেউই নিরাপদ নয় বলে তারা অভিমত প্রকাশ করেন। তাই ভুক্তভোগী মিজান গাজীর গরুগুলো ফেরত পেতে তারা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে এমন দুর্ধর্র্ষ ডাকাতির ঘটনায় ভুক্তভোগী খামারী মিজান গাজী সোমবার সকালে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।