রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

কয়লা ঘাটে রেলওয়ের জায়গায় অর্ধশত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
সেলিম রেজা ॥

চাঁদপুর শহরে রেলওয়ের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা প্রায় অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সোমবার সকালে বড়স্টেশন রেললাইনের পাশে ক্যারেজডিপো সংলগ্ন কয়লাঘাট এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। এদিন সকাল থেকে অভিযান চলাকালে স্থাপনা ভাঙ্গার জন্য ভ্যাকু পৌঁছলে যার যার বাসস্থান নিজেদের দায়িত্বে সরিয়ে নেয়। এর আগে রেলওয়ের পক্ষ থেকে এসব স্থাপনা সরিয়ে নিতে মাইকিং করা হয়।

বড় স্টেশন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রেলবিভাগ, পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ উচ্ছেদ অভিযান শুরুর পূর্বেই অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীদের অধিকাংশই নিজ উদ্যোগে তাদের স্থাপনা সরিয়ে ফেলছে। অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ের ডিআরএম সামস মোহাম্মদ তুষার, চীফ অ্যাস্টেট অফিসার মাহবুবুর রহমান, চাঁদপুর মডল থানার ওসি আবদুর রশিদ, রেলওয়ে থানার ওসি মোঃ মুরাদ উল্লাহ বাহার, ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার মোঃ শোয়েব শিকদারসহ রেলওয়ের কর্মকর্তারা।

শোয়েব শিকদার জানান, বড়স্টেশন এলাকার রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এতদিন অরক্ষিত অবস্থায় ছিল। তাই রেলওয়ের সম্পদ রক্ষায় সীমানা প্রাচীর দেয়ার কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। উক্ত কাজ করার লক্ষ্যে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা জরুরি হয়ে পড়ে।

জানা যায়, রাতের বেলা যখন মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেন অবস্থান করে বা ভোর বেলা চট্টগ্রাম অভিমুখে ছাড়লে ছিনতাইকারীরা যাত্রীদের মোবাইল, ব্যাগ, ঘড়ি, গলার চেইনসহ মূল্যবান জিনসপত্র নিয়ে ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়ে কয়লা ঘাটের এসব অবৈধ স্থাপনায় ঢুকে পড়ে। তাছাড়া এখানকার অবৈধ এসব স্থাপনা ঘিরে মাদক সিন্ডিকেটসহ একটি বড় অপরাধ চক্র গড়ে উঠেছে। পুলিশ এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে মাদক কারবারীদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠালে আদালত থেকে জামিনে এসে তারা পুনরায় একই কাজ করে। এসব কাজ বংশপরম্পরায় এরা করে থাকে। যারা শহরে চুরি-ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত। পরে রেল কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদের স্থলে তাৎক্ষণিক তাদের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করে। এ অভিযান বিকেল ৫টা পর্যন্ত অব্যাহত ছিলো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়