বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কচুয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
  •   নির্মাণের এক বছর না যেতেই ফরিদগঞ্জ কেন্দ্রীয় মডেল মসজিদের বেহাল দশা
  •   শেষ হলো পদ্মা-মেঘনায় জাল ফেলার নিষেধাজ্ঞা
  •   ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
  •   মোবাইল ব্যবহারে নিষেধ করায় শিশু শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবিতে আহত যাত্রীর মৃত্যু ॥ নিখোঁজ ১
মিজানুর রহমান ॥

চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশন মেঘনা-ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থলে এমভি লামিয়া নামের লঞ্চের ধাক্কায় খেয়া পারাপারের নৌকা ডুবিরর ঘটনায় গুরুতর আহত এক যাত্রীকে ঢাকা নেয়ার পথে মারা গেছে। তার নাম রেজিয়া খাতুন (৬৫)। তিনি চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজেরাজেশ্বরের আহাদ মিয়ার স্ত্রী।

অপরদিকে নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ নাছিমা বেগম (৩৫) কে কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিস ডুবুরিরা অনেক চেষ্টা করেও খুঁজে পায়নি। ৫ নভেম্বর শুক্রবার বেলা বারোটার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

নিখোঁজ নাছিমা শরিয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ থানার উত্তর তারাবুনিয়ার সালেহ আহমদ মাসুদের স্ত্রী। নিহত ও নিখোঁজ দুই নারী সম্পর্কে ননদ-ভাবী। তারা চাঁদপুর শহরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ট্রলারযোগে চর এলাকা থেকে এসেছিল। খেয়া পার হতে গিয়ে ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।

অপরদিকে চাঁদপুর থানা পুলিশ মোহনপুর ফাঁড়ি পুলিশের সহযোগিতায় ঘাতক লঞ্চটি জব্দ করে চাঁদপুর ঘাটে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লামিয়া লঞ্চের মাস্টার মতিউর রহমান, ড্রাইভার মোস্তফা মিয়া, কেরানী মজিবুর রহমান ও সুকানী আবু জাহিদ এ ৪ জনকে আটক করে নৌ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় নিখোঁজ নাছিমা বেগমের পিতা ফয়জুল সরকার বাদী হয়ে ও চাঁদপুর নৌ-টার্মিনালের বন্দর কর্মকর্তার পক্ষ থেকে ১টিসহ ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে বন্দর কর্মকর্তা একেএম কায়সারুল ইসলাম জানিয়েছেন।

নৌ পুলিশ ও নিহতদের স্বজনরা জানান, চাঁদপুর শহরের ডাকাতিয়া নদীর কয়লাঘাটের লঞ্চঘাট থেকে ওই লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ওই সময় বড় স্টেশন মোলহেড এলাকার একটি খেয়া নৌকা চর থেকে ট্রলারযোগে আগত যাত্রীদের নিয়ে নদী পার হচ্ছিল। লঞ্চটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নৌকাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে নৌকায় থাকা ৮/৯ জন যাত্রী নদীতে ছিটকে পড়েন। তাদের মধ্যে লঞ্চের ধাক্কায় দুজন যাত্রী গুরুতর আহত হন এবং ১ জন নদীতে তলিয়ে যান। আহতদেরসহ অন্যান্য যাত্রীকে আশেপাশের খেয়া নৌকার সাহায্যে লোকজন উদ্ধার করে। পরে গুরুতর আহত রেজিয়া খাতুনসহ দুজনকে দ্রুত চাঁদপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময় কর্মরত চিকিৎসক রেজিয়া খাতুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে ঢাকা রেফার করেন। ঢাকা নেয়ার পথে মারা যান তিনি।

চাঁদপুর লঞ্চঘাট সূত্রে জানা যায়, এমভি লামিয়া লঞ্চটি ডামুড্যা-চাঁদপুর-ঢাকা রুটে চলাচল করে। ডামুড্যা থেকে আসার পর ওই লঞ্চটি মেঘনা নদীর চাঁদপুর মাদ্রাসা রোড লঞ্চঘাটে না ভিড়িয়ে ডাকাতিয়া নদীতে পুরাতন লঞ্চঘাটে ভিড়ায়। সেখান থেকে যাবার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটায়। প্রায় দিনই এই লঞ্চটি ডাকাতিয়া নদীর ঘাটে অবস্থান করে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়