প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
হাজীগঞ্জে পূজামণ্ডপ ভাংচুরে ৩শ’ আসামী শনাক্ত
গত ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যার পর মিছিল থেকে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে ভাংচুরের ঘটনায় ৩শ’ জনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। ভিভিও ফুটেজ দেখে এসব আসামীকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭৩ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের শনাক্তের কাজ চলমান রয়েছে। শুক্রবার হাজীগঞ্জে অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানের বক্তব্যে বিষয়টি জানান চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম। ঐ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খাঁন এমপি।
গত ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ বাজারের বেশ কয়েকটি দুর্গাপূজা ম-পসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পুলিশ ১৪টি মন্দির ভাংচুর হওয়ার বিষয় নিশ্চিত করে। এই ১৪টি মন্দিরের মধ্যে ৮টি মন্দির বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মন্দির বা পূজাম-পগুলোতে হামলার সময়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পুলিশের কাছে তুরুপের তাসরূপে বিবেচিত হয়। কামাল উদ্দিন আব্বসী নামের শাহরাস্তি উপজেলার ভোলদিঘী মাদ্রাসার আরবী শিক্ষক মন্দিরে হামলার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। হাজীগঞ্জের শ্রীশ্রী রাজালক্ষ্মী নারায়ণ জিউর আখড়ার সামনে হামলার সময় ঐ সময়ের মিছিলে কামাল উদ্দিন আব্বাসীকে দেখা গেছে, আর ভিডিও ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত ও আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এই সকল হামলায় পুলিশের পক্ষ থেকে ২টি মামলা ও ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে ৮টি মিলিয়ে মোট ১০টি মামলা দায়ের করা হয়। এতে আসামী করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার জনকে। পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ও জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে একটি মিলিয়ে মোট ২টি তদন্ত কমিটি করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে হাজীগঞ্জের উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ আরো বলেন, সেদিন শ্রীশ্রী রাজা লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর আখড়ার অভ্যন্তরে নারী-শিশু মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজার পূজারী ছিলো। ঐ মন্দিরে প্রবেশ করার পথ রয়েছে মাত্র একটি লোহার গেট। সেদিন কোনোভাবে হামলাকারীরা সেই লোহার গেট ডিঙ্গিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে পারলে ঘটনা আরো মারাত্মক ঘটতে পারতো।