শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

চুরির অপবাদে স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে বেধড়ক পিটুনি
নূরুল ইসলাম ফরহাদ ॥

ফরিদগঞ্জে স্বর্ণের চেইন চুরির অপবাদ দিয়ে স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হামলার শিকার নারীকে উদ্ধার করতে গিয়ে আরও কয়েকজন আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর আহতাবস্থায় ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে এমন অমানবিক ঘটনা পুলিশ সুপারের নজরে পড়ে। তিনি নির্যাতিতা নারীর পাশে দাঁড়ানোর কথা জানান।

অন্যদিকে, ২৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতেই গুরুতর আহত ওই নারীকে চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান স্বজনরা। তাকে বেধড়ক পেটানোর ফলে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মকভাবে ক্ষতের সৃষ্টি হয়।

ঘটনার সময় পাশ থেকে মুঠোফোনে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এক নারী ও এক যুবক আরেক নারীর হাত জড়িয়ে ধরেছেন। এর মধ্যে আরেক যুবক তাকে কাঠের গুঁড়ি দিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছেন। ২ মিনিটেরও বেশি ওই ফুটেজে এমন ঘটনার শেষের দিকে নির্যাতিতা নারীকে রক্ষায় কয়েকজন এগিয়ে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। ফরিদগঞ্জের ১৫নং রূপসা উত্তর ইউনিয়নের রুস্তমপুর গ্রামে আমিন উদ্দিনের বাড়িতে গত শুক্রবার বিকেলে এমন নির্মম ঘটনা ঘটে।

বৃদ্ধ আব্দুল মান্নানের সাত ছেলে, দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট তাসলিমা বেগম। আট বছর আগে বিয়ে হয় তার। কিন্তু স্বামী তাকে ছেড়ে যাওয়ার পর বাবার বাড়িতেই থাকেন তিনি। কয়েক মাস আগে প্রতিবেশী মোস্তফা মিয়ার ছেলে কাউসার আলমের স্ত্রীর গলার একটি স্বর্ণের চেইন হারিয়ে যায়। কিছুদিন আগে সেটি খুঁজে পেলেও এর জন্যে দায়ী করা হয় একই বাড়ির স্বামী পরিত্যক্তা তাসলিমা বেগমকে।

নির্যাতিতা তাসলিমা বেগমের বড় বোন আমেনা বেগম জানান, এ জন্যে তার ছোট বোনকে দায়ী করা হয়। আর এমন ঘটনার জের ধরেই কাউসার আলমের ছোট দুই ভাই ইয়াসিন ও মোফাচ্ছের এবং তাদের মা শামছুন্নাহার এমন পৈচাশিক নির্যাতন চালান তাসলিমা বেগমের ওপর।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী তাসলিমা বেগম জানান, বিনা কারণেই ঘর থেকে ডেকে নিয়ে বাড়ির উঠোনে তার ওপর হামলা চালানো হয়। তিনি চুরির কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এমন পরিস্থিতিতে স্বজনরা ঘটনার বিচার দাবি করে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন। তবে ঘটনার পর থেকে এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেয়ায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এদিকে হাসপাতালে ভর্তির পর ঘটনার শিকার নারীর শারীরিক অবস্থা তেমন ভালো নয়। তবে আপাতত শঙ্কামুক্ত। তাই আরও কয়েক দিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিতে হবে রোগীকে। এমন তথ্য জানালেন সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডাঃ মনিরুল ইসলাম। অন্যদিকে, রোববার দুপুরে নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ। এ জন্যে ফরিদগঞ্জ থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার ইদ্রিস জানান, একটি স্বর্ণের চেইন চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই মারামারির ঘটনাটি ঘটেছে।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন বলেন, উক্ত মারামারীর বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়