শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে নারী লোভী হাবিব অবশেষে শ্রীঘরে
ফরিদগঞ্জ ব্যুরো ॥

পেশায় ব্যটারীচালিত অটোবাইক চালক হলেও নেশা তার নারীদের মুঠোফোনের মাধ্যমে কৌশলে তার প্রতি আকৃষ্ট করা। এক পর্যায়ে তার সাথে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে নিজের নারী লোভের তৃষ্ণা মেটানো। তার এই অবৈধ কুকর্মের কারণে তার স্ত্রী অতিষ্ট হয়ে বাপের বাড়ি চলে গেছে। এসব কুকর্ম করে বেড়ানো হাবিব খান বাবু (৩০) অবশেষে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় আটক হয়ে এখন শ্রীঘরে।

এক গৃহবধূকে কৌশলে অপহণের পর আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হাবিব খান বাবুকে ২৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে আটক করে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করেছে ফরিদগঞ্জ পুলিশ।

জানা গেছে, উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব ধানুয়া গ্রামের ওয়ারিশ খানের বাড়ির খোরশেদ আলমের ছেলে হাবিব খান বাবু পেশায় অটোবাইক চালক। কিন্তু সে মানুষের কাছে একসময় নিজের একেক পরিচয় দিতো। সে ইতিপূর্বে বেশ কয়েকটি অটোবাইক চুরি করেছে। কিন্তু এ সবের আড়ালে সে নারী লোভী। সুঠাম দেহের অধিকারী হওয়ায় সে কৌশলে নারীদের সাথে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মুঠোফোনে প্রেমের অভিনয় করে তাদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করতো। একই কথা ধানুয়া এলাকার লোকজনও জানান। এছাড়া পরকিয়ায় জড়িয়ে সে বহু নারীর সংসার ভেঙ্গেছে।

তার দ্বিতীয় স্ত্রী শামছুন্নাহার বেগম জানান, তার স্বামী একাধিক বিয়ে করেছে। সে দ্বিতীয় স্ত্রী। তার অত্যাচারের কারণে গত ৫ মাস পূর্বে সে বাপের বাড়িতে চলে এসেছে। তার স্বামীকে এই পথ থেকে সরানোর জন্যে বহু চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কোনো কিছুই কাজে আসে নি। তিনি নিজে তার স্বামীকে গৃদকালিন্দিয়া, রূপসা, প্রত্যাশী ও শরীয়তপুর এলাকা থেকে অবৈধ কর্মে লিপ্ত অবস্থায় আটকের পর অর্থ দিয়ে ছাড়িয়ে এনেছেন।

হাবিব খান বাবু সর্বশেষ এক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের গৃহবধূকে টার্গেট করে। সে মুঠোফানে ওই গৃহবধূকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে। ওই গৃহবধূ গত ১০ সেপ্টেম্বর তার বাপের বাড়ি গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের শোভান গ্রামের বাপের বাড়িতে আসে। হাবিব খান তার এক সহযোগীকে নিয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর কৌশলে অপহরণ করে। পরে ঐ গৃহবধূকে পাশর্র্র্^বর্তী হাইমচর উপজেলার আলগী এলাকায় একটি ঘরে আটকে রাখে। অভিযুক্ত হাবিব নিজে পুলিশে চাকুরি করে বলে হুমকি দিয়ে ঐ গৃহবধূর পিতা-মাতাসহ পরিবারের লোকজনকে মামলায় জড়িয়ে শেষ করে দিবে এমন ভয়-ভীতি দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। ৯দিন পর বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ঐ গৃহবধূ কৌশলে পালিয়ে তার পিত্রালয়ে চলে আসে। বিষয়টি তার পরিবারের লোকজনকে জানানোর পরে তার পিতা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ফরিদগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত হাবিব খানকে পাশর্^বর্তী হাইমচর উপজেলার আলগী এলাকা থেকে আটক করে এবং ২৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে তাকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করে। এছাড়া ঐ গৃহবধূকে উদ্ধার করে তার মেডিকেল টেস্ট ও ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের জন্যও চাঁদপুর প্রেরণ করে। পরে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করে।

এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহিদ হোসেন জানান, ঐ গৃহবধূর পিতা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত হাবিব খানকে আটক করা হয়। ২৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে গৃহবধূর মেডিকেল টেস্ট ও ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের জন্যে চাঁদপুর প্রেরণ করা হয়। এছাড়া হাবিবকেও চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পরে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠায়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়