প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
পাল্টে যাচ্ছে পাঠ্যবই
নতুন শিক্ষাক্রম অনুমোদনের পর ঢেলে সাজানো হচ্ছে পাঠ্যসূচি। প্রতিটি ক্লাসের বইগুলোর মধ্যে আনা হচ্ছে বড় ধরনের পরিবর্তন। কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে আগামী ১ বা ২ অক্টোবর নতুন পাঠ্যবই প্রণয়নের কাজ শুরু হবে। অক্টোবরের মধ্যে বই লেখার কাজ শেষ করে ছাপার কাজ শুরু করতে চায় এনসিটিবি। এবার শিক্ষাক্রম প্রণয়নের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত আছেন, তাঁরাই মূলত বইগুলো লিখবেন বলে জানা গেছে।
|আরো খবর
এখনকার মতো প্রাক-প্রাথমিকের শিশুদের জন্যে নতুন শিক্ষাক্রমেও কোনো বই থাকবে না। নতুন শিক্ষাক্রমে ভাষা ও যোগাযোগসহ শেখার জন্যে যে ১০টি ক্ষেত্র নির্ধারণ করা হয়েছে, সেগুলো শিক্ষকেরা ‘শিক্ষক গাইডের’ আলোকে এই স্তরের শিক্ষার্থীদের সমন্বিতভাবে অনুশীলন করাবেন।
প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানোর জন্যে আটটি বিষয় ঠিক করা হয়েছে। এগুলো হলো বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, ধর্মশিক্ষা, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতি। তবে সব বিষয়ের জন্যে শিক্ষার্থীরা বই পাবে না। এর মধ্যে এখনকার মতো প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির জন্যে বাংলা, ইংরেজি এবং গণিত বিষয়ে শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবই পাবে। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতেও এখনকার মতো ছয়টি বই থাকবে। এগুলো হলো বাংলা, ইংরেজি, গণিত, প্রাথমিক বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং ধর্মশিক্ষা। বাকি দুটি বিষয় শিক্ষকেরা শিক্ষক গাইডের আলোকে পড়াবেন।
প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ের পরিকল্পনা এমনই আছে উল্লেখ করে এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক একেএম রিয়াজুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, এসব কাজ কিছুটা তাঁরা এগিয়েও রেখেছেন। বইয়ের নাম অনেকটা এখনকার মতো হলেও বিষয়বস্তু উপস্থাপনে অনেক পরিবর্তন হবে।
বর্তমান শিক্ষাক্রম অনুযায়ী এখন ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে ১২ থেকে ১৪টি বই পড়ানো হয়। নতুন শিক্ষাক্রমে এসব শ্রেণির প্রতিটিতে ১০টি বিষয়ে ১০টি বই থাকবে। এগুলো হলো বাংলা, ইংরেজি, গণিত, জীবন ও জীবিকা, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, ডিজিটাল প্রযুক্তি, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা, ধর্মশিক্ষা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি।
এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ে মুখস্থ করার পরিবর্তে বিশ্লেষণমূলক ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন কার্যক্রম বেশি থাকবে। বইগুলো তথ্য দিয়ে ভারাক্রান্ত থাকবে না। যেমন গল্প-কবিতার লেখক পরিচিতিতে সাল, তারিখ ধরে বিস্তারিত থাকবে না। বইয়ের বিন্যাসগত এবং ছবি ও অলংকরণে পরিবর্তন থাকবে। শিক্ষার্থীরা যাতে তার চারপাশের বিষয়বস্তু পাঠ্যবইয়ে প্রতিফলন পায়, তার উল্লেখ থাকবে।
এনসিটিবির একজন সদস্য সাংবাদিকদের বলেন, বইয়ের পৃষ্ঠাসংখ্যা (ভলিউম) হয়তো অনেক কমবে না। কিন্তু বিষয়বস্তু উপস্থাপনে লেখার আধিক্য কমিয়ে ছবিসহ অন্যান্য বিষয় গুরুত্ব পাবে।