বিনামূল্যের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু

সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুর জেলার সর্বত্র নতুন বছরে নতুন বই পাওয়ার স্বপ্নে বিভোর স্কুল-মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি 

চাঁদপুর জেলা সদরস্থ বইয়ের গুদাম থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের  চাহিদা অনুযায়ী বিনামূল্যের সরকারি পাঠ্যবই সংগ্রহ করে নিচ্ছে। সরজমিনে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর ২০২৪) সকাল থেকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের বিপরীতে বইয়ের গুদাম থেকে স্কুল স্কুল-মাদ্রাসায় বই নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। 

জানা যায়,  চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক, মাদ্রাসা, ভোকেশনাল ও এবতেদায়ী ৫১৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাধ্যমিক স্তরে ৩৭ লাখ ৯৭ হাজার ২২২ কপি বইয়ের বরাদ্দ হয়েছে।

সোমবার সকাল থেকে সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের কাছে বই বিতরণ শুরু হয়েছে। চাঁদপুর শহরের সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল সংলগ্ন সংরক্ষণাগার থেকে এসব বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।

অপরদিকে প্রাথমিক স্তরের স্কুল সমূহের বই দেয়া হচ্ছে জেলা হাসপাতাল সংলগ্ন কেজি সরকারি প্রাইমারি স্কুলের মাঠ থেকে। 

চাঁদপুর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাব রক্ষক মো. ইসমাইল জানান, এ বছর চাঁদপুর সদর উপজেলায় মাধ্যমিক স্তরের ৮৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষাবর্ষের বই বিতরণ করা হবে। আজকেই প্রথম বিতরণ করা শুরু হলো। সদরে ৫৩টি মাধ্যমিক স্কুল ও ৩০টি মাদ্রাসা। বইয়ের চাহিদা রয়েছে প্রায় সোয়া ৬ লাখ। ২০২৩ সালে বিতরণ করা হয় ৭লাখ বই।

চাঁদপুর শহরের আল-আমিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের একাধিক শিক্ষক বই নিতে এসেছেন। তারা জানান, আমরা ৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর সব বই পেয়েছি। অষ্টম শ্রেণীর পেয়েছি ৭টি বই। বাকি বই এখনো আসেনি। নবম শ্রেণীর জন্যে নতুন কারিকুলামের বই আসবে।

চাঁদপুর জেলা শিক্ষা অফিসার জানান, জেলার ২৮৪ টি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার জন্যে ৬ষ্ঠ হতে নবম শ্রেণি পর্যন্ত নতুন কারিকুলামের জন্যে নতুন বই আসতে শুরু করেছে। এসব বই স্ব স্ব উপজেলার সংরক্ষণাগারে আসতে শুরু করেছে এবং নির্ধারিত সময় পৌঁছাবে। মাধ্যমিক স্তরে ৬ষ্ঠ হতে নবম শ্রেণির ইংরেজি ভার্সনের জন্যে ১৪ হাজার ৯৫৫ কপি বইয়ের চাহিদা রয়েছে। কারিগরি প্রতিষ্ঠানের জন্যে ২৬ হাজার ৭৬৫ কপি বইয়ের  চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে। ১ জানুয়ারি বই উৎসব করার জন্যে আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।