প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
তিন সন্তানের জনক শিক্ষক মোঃ ফরহাদ হোসেন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্রীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন। এছাড়াও শিক্ষক মোঃ ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে জোর করে ওই ছাত্রীর থেকে স্বাক্ষর নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ উঠে। ফরহাদ হোসেন হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল রামকানাই উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক। ফরহাদ হোসেনের এসব অনৈতিক কাজে সহযোগিতা করেন একই বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক ইয়াকুব আলী। শিক্ষক ইয়াকুব আলীকে উভয় পক্ষের হয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে বেশ তৎপর দেখা যায়।
সরেজমিনে বুধবার বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ২১ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষক ফরহাদ হোসেন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। তিনি তিন সন্তানের জনক। তিনি তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে হাজীগঞ্জে বাসা ভাড়া করে থাকেন। করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকলেও তিনি ও ইয়াকুব আলী বিদ্যালয়ের পাশে বাড়ি ভাড়া নিয়ে নিয়মিত কোচিং চালিয়ে আসছিলেন।
দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও কোচিংয়ের সুবাদে প্রতিদিন যাতায়াত ছিলো শিক্ষক ফরহাদ ও ইয়াকুবের। প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর ঘরে যাতায়াত ছিলো এ দুই শিক্ষকের। ভুক্তভোগী ছাত্রীর পিতা প্রবাসী হওয়ায় শিক্ষকদ্বয় টার্গেট করেন ওই পরিবারকে। ফরহাদ ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। আর সকল কাজে সহযোগিতা করেন শিক্ষক ইয়াকুব। শিক্ষক ইয়াকুব শিক্ষার্থীর প্রবাসী পিতাকে বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ওই শিক্ষার্থী বড়কুল রামকানাই উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গত বছর এসএসসি পাস করেন।
ভুক্তভোগীর মা চাঁদপুর কণ্ঠকে বলেন, এ দুই শিক্ষক দীর্ঘদিন আমার মেয়ে ও ছেলেকে পড়ানোর জন্যে ঘরে আসতো। ফরহাদ আমার মেয়ের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। তার ওপর আল্লাহর গজব পড়–ক। আমার মেয়েকে সে ফুসলিয়ে জোর করে একটি স্বাক্ষর নিয়েছে। আমার মেয়ে সহজ-সরল। আমার মেয়েকে ফরহাদ ব্লাকমেইল করেছে। ফরহাদ এ কাজটি করেছে ১০-১২ দিন আগে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মেয়ে এখন বলছে তার সংসার করবে না। সে আমার মেয়েকে জোর করে এসব করেছে।
বড়কুল রামকানাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হক বলেন, এসবের কোনো প্রমাণ আমার কাছে নেই। আমার কাছে কেউ অভিযোগও করেনি। আমি বিষয়টির খোঁজখবর নিবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, ভুক্তভোগী পরিবার অথবা শিক্ষক ফরহাদ হোসেনের প্রথম স্ত্রী যদি আমাদেরকে লিখিত অভিযোগ দেন আমরা ব্যবস্থা নিবো। তারপরও বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
শিক্ষক ফরহাদ হোসেন চাঁদপুর কণ্ঠের কাছে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেয়ের মা এসব কেনো বলেছে আমি জানি না।
শিক্ষক ইয়াকুব আলী বলেন, ফরহাদ স্যারের সাথে আমার বন্ধুত্ব রয়েছে। তবে এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই।