শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লাগাতার মাদকবিরোধী অভিযান
চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥

চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বর্তমানে পূর্ববর্তী বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি সক্রিয়তা প্রদর্শন করছে। মাদকদ্রব্যের ব্যবহার, পরিবহন ও পাচাররোধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। চাঁদপুর দেশের ট্রানজিট জেলা হওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নৌ, রেলপথ ও সড়কযোগে নিয়মিত মাদক আনা-নেয়া হয়ে থাকে। আর এ মাদক ব্যবসায়ী ও সরবাহকারীদের ওপর কঠোর নজরদারি করে আসছে চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বর্তমান জনবল। অধিদপ্তরটির স্বল্প জনবল থাকা সত্ত্বেও দিন-রাত জেলার ৮টি উপজেলায় মাদকবিরোধী নিয়মিত অভিযান জোরদার রেখেছেন অধিদপ্তরের দায়িত্বে থাকা সহকারী পরিচালক একেএম দিদারুল আলম। তিনি চাঁদপুরে যোগদানের পর বিগত দেড় বছরে তার সক্রিয় কর্মতৎপরতায় সাড়া জাগিয়েছেন। জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট কম থাকার পরও ব্যাপকহারে মাদকবিরোধী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে চলছেন।

২০১৮ ও ২০১৯ সালের সাথে বিগত ২০২০ ও বর্তমান সালের চলতি মাস পর্যন্ত মাদকবিরোধী অভিযানের সংখ্যা, আসামী আটক, গাঁজা/ইয়াবা/ফেনসিডিল জব্দের পরিমাণ নিরূপণ করলেই বোঝা যায় বর্তমান সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব পালনকালে কতোটা সক্রিয়ভাবে কাজ করে চলছে চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

২০২০ সাল হতে ২০২১ সালে (সেপ্টেম্বর/২২/০৯/১১) পর্যন্ত মোট ১৫৯৮টি মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে মোট ৩২২টি মামলায় আসামী করা হয়েছে ৩৪৯ জনকে। বিগত দেড় বছরে ১৫৯৮টি অভিযানে মাদক হিসেবে ইয়াবা ৩৬ হাজার ৬৩৭ পিস, গাঁজা প্রায় ৪৪ কেজি, ফেন্সিডিল ১৭১ বোতল, বিয়ার ৫ ক্যান, বিদেশী মদ ৮ বোতল, বুপ্রেনরফিন ইনজেকশন ৪ (এম্পুল), চোলাই মদ ৪০ লিটার ৪০০ মিলিগ্রাম জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া মাদক পরিবহনে মোটরসাইকেল ৩টি, সিএনজি অটোরিকশা ২টি, মোবাইল সেট ২টি ও নগদ অর্থ ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭০০টাকা জব্দ করা হয়েছে।

২০১৮ সালে মোট ৬০৮টি মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালাতি হয়েছে। অভিযানে নিয়মিত মামলা হয়েছে ৫০টি। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে মামলা হয়েছে ৭৯টি। সাধারণ ডায়েরি হয়েছে ৬টি। মোট ১৩৫টি মামলায় আসামী করা হয়েছে ১৩৫ জনকে। ২০১৯ সালের ৬০৮টি অভিযানে মাদক হিসেবে ইয়াবা ট্যাবলেট ২ হাজার ৯৫০ পিস, গাঁজা প্রায় ২ কেজি ৫০ গ্রাম, ফেন্সিডিল ১০ বোতল, চোলাই মদ ২৩.৪০০ লিটার জব্দ করা হয়েছে। তবে মাদক পরিবহনে কোনো প্রকার যানবাহন জব্দ যায়নি।

২০১৮ সালে মোট ৬২৯টি মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে নিয়মিত মামলা হয়েছে ৫০টি। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে মামলা হয়েছে ৭৪টি। সাধারণ ডায়েরি হয়েছে একটি । মোট ১২৫টি মামলায় আসামী করা হয়েছে ১৩০ জনকে। ২০১৮ সালের ৬২৯টি অভিযানে মাদক হিসেবে ইয়াবা ২ হাজার ৪৪৬ পিস, গাঁজা প্রায় ৬ কেজি ৪০০ গ্রাম, ফেন্সিডিল ২২ বোতল, বিয়ার ১৪৪ ক্যান জব্দ করা হয়েছে। কিন্তু মাদক পরিবহনে কোনো যানবাহন জব্দ হয়নি।

চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে সহকারী পরিচালক এ কে এম দিদারুল আলম বলেন, আমি চাঁদপুর জেলায় বিগত বছরের এপ্রিল মাসে যোগদানের পর থেকে বর্তমান বছরের মধ্য সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ দেড় বছরের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে দেড় হাজারেরও বেশি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছি। স্বল্প জনবল, অপ্রতুল লজিস্টিক সাপোর্ট থাকা সত্ত্বেও আমরা মাদকবিরোধী অভিযানে কোনো প্রকার শিথিলতা দেখাইনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়তে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স নীতি প্রয়োগ করতে আমি বিন্দুমাত্র পিছ পা হবো না। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে আমি সর্বদা কাজ করে যোবো। আপনারা আমি চাঁদপুর আসার পূর্বের পরিসংখ্যান দেখলেই বুঝতে পারবেন অতীতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাজের সাথে বর্তমানের কাজের ফারাক বিশাল। তবে মাদকের সাথে সম্পৃক্তরা আমার এ কাজ ভালো চোখে দেখছে না। তাই একটি মহল আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রপাগান্ডা ছড়ায়, যাতে আমি আমার মাদকবিরোধী অভিযান শ্লথ করে দেই। যত বিরোধিতাই করা হোক না কেনো আমি যতদিন চাঁদপুর জেলায় আছি, ততদিন মাদক নিয়ন্ত্রণে মাদকবিরোধী উদ্ধার অভিযান নিয়মিত পরিচালিত হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়