শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

নিজ নিজ ধর্ম পালনের মধ্য দিয়ে আমরা বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করবো
বিমল চৌধুরী ॥

মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের নির্দিষ্ট সংখক মানুষের উপস্থিতিতে চাঁদপুরে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ২৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ সরকারের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। তিনি বর্তমান সময়ে এমন একটি সুন্দর আয়োজনের জন্যে আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা যদি স্টাডি করি তাহলে দেখতে পাবো সকল ধর্মেই শান্তির কথা বলা আছে, মানুষের কল্যাণের কথা বলা হয়েছে। অন্যের ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ সৃষ্টির কথা বলা হয়নি। আর আমার ইসলাম ধর্মটাই হলো শান্তির ধর্ম। তাহলে আমি ধর্ম নিয়ে কেনো হানাহানি করবো, মারামারি করবো, সন্ত্রাস সৃষ্টি করবো। তাই সকলের প্রতি অনুরোধ থাকবে ধর্ম নিয়ে সন্ত্রাস, হানাহানি, মারামারি নয়। ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে একে অপরের পাশে দাঁড়াবো, অপরের ধর্ম পালনে সহযোগিতা করবো। নিজ নিজ ধর্ম পালনের মধ্য দিয়ে আমরা বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করবো। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় কোনো সাম্প্রদায়িকতা থাকতে পারে না। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, এ দেশ না হিন্দুর, না মুসলিমের, না অন্য কোনো সম্প্রদায়ের। এ দেশ আমার, আপনার সকলের। তাই ধর্ম নিয়ে কোন্ দেশে কী হচ্ছে, তা দেখার বিষয় নয়। দেখতে হবে আমার দেশে কী হচ্ছে। আমরা চাই শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে শান্তিতে বসবাস করতে এবং তা কার্যকরে সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলতে। তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে আরো বলেন, কোনোপ্রকার গুজবে কেউ কান দিবেন না। গুজব বড় ধরনের সহিংসতা সৃষ্টি করতে সহায়তা করে। তাই সকলের প্রতি অনুরোধ থাকবে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় আমরা একে অপরের প্রতি সহনশীল হবো। অপরের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আসে এমন কিছু করা যাবে না। তিনি মসজিদের মাইক আজান বা নামাজ ব্যতীত অন্য কাজে ব্যবহার না করার জন্যেও ইমাম, মুয়াজ্জিনদের প্রতি অনুরোধ করেন। কোনো অবস্থায়ই যেনো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট না হয় সে ব্যাপরে সকলকে সচেতন থাকার জন্যও তিনি অনুরোধ জানান।

কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বিপিএম(বার)। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালক উপ-সচিব আবদুল্লা আল শাহীনের সভাপ্রধানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর ইসলামিক ফাউ-েশন উপ-পরিচালক মোঃ খলিলুর রহমান।

ইসলামিক ফাউ-েশন চাঁদপুরের ফিল্ড অফিসার মোঃ বিল্লাল হোসেনের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, চাঁদপুর জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা সাইফুদ্দিন খন্দকার, চাঁদপুর জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ রনজিত রায় চৌধুরী ও চাঁদপুর জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ। উদ্বোধনী পর্বের সূচনা লগ্নে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন আল মদিনা জামে মসজিদের খতিব আবু বকর বিন ফারুক, ত্রিপিটক পাঠ করেন সাব ইন্সপেক্টর বকুল বড়ুয়া ও গীতা পাঠ করেন ইসকনের অধ্যক্ষ পন্ডিত জগদানন্দ।

উদ্বোধনী আলোচনা শেষে দ্বিতীয় পর্বের কর্মশালায় ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক বিষয়ের উপর ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করেন শিক্ষক ও সাংবাদিক মাহমুদ মেনন। কর্মশালার আয়োজন ছিল চোখে পড়ার মত। মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মিলিত কর্মশালাটি শেষ পর্যায়ে সহমর্মিতার মিলনমেলায় পরিণত হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়