প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ইউনিফর্ম না থাকায় ৭ শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের করে দেয়ায় শরীরচর্চা বিষয়ের শিক্ষক এমদাদ উল্লাহকে শোকজ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ক্লাস চলাকালীন শরীরচর্চা শিক্ষক এমদাদ উল্লাহ শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করেই সাকিন মাহমুদ শৈশব, তামজীদ মজুমদার, রাকিব হোসেন, নাজাফউদ্দীন, আবু বক্কর সিদ্দিক সজীব, মোঃ সাজেদুল ইসলামসহ কয়েকজনকে ইউনিফর্ম না থাকায় শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। পরে রসায়নের শিক্ষক রাসেল তাদেরকে সাময়িক ক্ষমা করার জন্যে এমদাদ উল্লাহকে অনুরোধ করেন। কিন্তু অনুরোধ রাখাতো দূরের কথা তিনি বরং আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফেল করানোর হুমকি দিয়ে শ্রেণিকক্ষ ত্যাগ করতে বাধ্য করেন।
এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ পায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ন দাস শুভ বিষয়টি অবগত হয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সরজমিনে তদন্তের নির্দেশ দেন। শিক্ষা কর্মকর্তা আলী আশ্রাফ খান বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিদ্যালয়ে গিয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি ঘটনার সত্যতা খুঁজে পেয়ে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের করা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে একটি লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, বের করে দেয়া শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম হিসেবে গায়ের শার্ট ঠিক থাকলেও পরনে ছিলো জিন্স প্যান্ট। এ সূত্র ধরে শরীরচর্চা শিক্ষক তাদেরকে বের করে দেন। আমি শিক্ষার্থীদের লিখিত বক্তব্য নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলোচনাক্রমে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবো।
তিনি আরো জানান, শিক্ষার্থীদের বের করে দেয়ার বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ মান্নান শিক্ষক এমদাদ উল্লাহকে শোকজ করেছেন। কোনো প্রকার সতর্ক ও পরামর্শ প্রদান না করে শিক্ষার্থীদেরকে অমানবিক ও অসৌজন্যমূলকভাবে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের করে দেয়ায় শিক্ষক ও অভিভাবক মহলে প্রচ- ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বের করে দেয়া শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা প্রায় দুই বছর পূর্বে স্কুলের ইউনিফর্ম হিসেবে যে প্যান্ট পরিধান করতো সেগুলো বর্তমানে তাদের শরীরের আকৃতির তুলনায় কিছুটা খাটো। হঠাৎ করে বিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু হওয়ায় সময় স্বল্পতার কারণে তারা নতুন প্যান্ট বানিয়ে স্কুলে আসতে পারেনি।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে শরীরচর্চা শিক্ষক মোঃ এমদাদ উল্লাহর বিরুদ্ধে প্রাইভেট পড়–য়া শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রশ্ন ফাঁস করে দেয়া, শিক্ষার্থীদের সাথে অশালীন আচরণ ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে বোরকা পরে আসতে নিষেধ করার অভিযোগ রয়েছে।