শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে বন্ধ হয়ে গেছে দশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
প্রবীর চক্রবর্তী ॥

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর দেশের সব স্কুল ও কলেজ খুলেছে। কিন্তু ফরিদগঞ্জ উপজেলার কমপক্ষে ১০টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল আর খোলেনি।

বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন ফরিদগঞ্জ উপজেলা শাখা সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট ৮২টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল ছিলো। ফরিদগঞ্জে ১০টি স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। সেগুলো আর কখনও খুলবে না।

উপজেলার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনার বন্ধে বিভিন্ন ক্লাসের বহু শিক্ষার্থী কোনো না কোনো কাজে যুক্ত হয়ে গেছেন। বেতন-ভাতাদি না পেয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও চলে গেছেন অন্য পেশায়।

বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে দেইচর নবধারা শিশু একাডেমী, সাচনমেঘ আল গাজ্জালী কেজি স্কুল, ইকরা মডেল একাডেমী, হলি মিশন একাডেমী, হলি চাইল্ড একাডেমী, আদর্শ শিশু কানন, খানজাহান একাডেমী ইত্যাদি।

বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুল হলি মিশন একাডেমির প্রধান শিক্ষক মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, করোনার আগে ১৩০জন শিক্ষার্থী নিয়ে স্কুলে ক্লাস চলছিলো। শিক্ষক ছিলেন ৮ জন। স্কুলের ভাড়াসহ যাবতীয় খরচ চালানো আমাদের মুশকিল হয়ে পড়ে। তার জন্যে স্কুলটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

উপজেলা সদরের হলি চাইল্ড একাডেমীর পরিচালক সাবেক পৌর কাউন্সিলর মজিবুর রহমান জানান, করোনার পূর্বে আমাদের প্রতিষ্ঠানটি ভালোই চলছিল। কিন্তু করোনাকালীন সময় আমরা শিক্ষকদের কোনো বেতন দিতে না পারায় তারা চলে গেছেন। ফলে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছি।

বর্ণমালা কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক মামুন হোসাইন বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে ১৭ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠানের মালিকরা জায়গা ভাড়া, শিক্ষকদের বেতন, কর্মচারীর বেতন, বিদ্যুৎ বিলসহ নানা রকমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আন্তরিক হওয়ায় কিন্ডারগার্টেনের অন্তত ৩০ জন শিক্ষককে সহযোগিতা করা সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন ফরিদগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি রেজাউল করিম মাসুদ জানান, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ১০টির মতো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। বাকি যেগুলো রয়েছে সেগুলোও ভতুর্কি দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন মালিক পক্ষ।

বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, কিন্ডারগার্টেনগুলো চলে ব্যক্তি মালিকানায়। বেশিরভাগ স্কুলই ভাড়া ভবনে। ভাড়া দিতে না পারায় ভবন ছেড়ে দিতে হয়েছে। আর শিক্ষকরাও যে যেদিকে পেরেছেন, চলে গেছেন। আরও বেশ কিছু স্কুল বন্ধের পথে রয়েছে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনির উজ্জামান জানান, এই পর্যন্ত ৭টি কিন্ডারগার্টেন ডিআর অনুযায়ী তালিকা জমা দেয় নি। তবে কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন কয়টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে সেটি সঠিকভাবে বলতে পারবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়