প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
মতলবের মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে জলাবদ্ধতার রেশ না কাটতেই ফের জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ১৮ সেপ্টেম্বর শনিবার দিবাগত রাত থেকে প্রবল বর্ষণের কারণে ও পানি নিষ্কাশনের প্রতিবন্ধকতায় মারাত্মক এ জলাবদ্ধতায় সৃষ্টি হয়। গত মাসের বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার রেশ কেটে ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই এ জলাবদ্ধতা হওয়ায় এখন কৃষকের মাথায় হাত।
বৃষ্টিতে ৩২ বছরের রেকর্ড জলবদ্ধতায় ধ্বংস হলো কৃষকের স্বপ্ন। প্লাবিত মেঘনা-ধনাগোদা সেচপ্রকল্পের মতলব উত্তর উপজেলার সব অঞ্চল। বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকেছে। রাস্তাঘাট পানিতে থৈ থৈ করছে। বিলগুলোতে ফসলি জমি, মাছের ঘের ও সবজি পানির চাপে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ময়লা-আবর্জনায় ও জায়গা দখলের কারণে খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি সরতে পারছে না। যার কারণে এ মারাত্মক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি, বাড়ি, রাস্তা ও মৎস্য খামার।
গত আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহের ভারী বর্ষণে এ বছরে প্রথম জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। সে জলাবদ্ধতায় রোপা আমনের বীজ তলা, রোপা আমন, আউশ ধান ও সবজির মারাত্মক ক্ষতি হয়। কৃষকরা সে ক্ষতির পর আবারও জমিতে আবাদ করে। এবারের জলাদ্ধতায় আবার তাদের আবাদী জমি তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় কৃষকের কপালে ভাঁজ ও মাথায় হাত।
হানিরপাড় গ্রামের লালমিয়া, শহর আলী, আলী আজমসহ স্থানীয় বহু কৃষক জানান, এবারের ভয়াবহ জলাবদ্ধতায় তাদেরসহ বহু কৃষকের তিনবার পর্যন্ত তৈরি করা আমনের বীজতলা, রোপা আমন ও আউশ ধানের ফসল সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়ে গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে প্রকল্প এলাকায় এক-তৃতীয়াংশ জমি চাষবিহীন অবস্থায় খালি পড়ে থাকবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সালাউদ্দিন বলেন, গত মাসে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় কৃষকের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আবার নতুন আবাদ করেছে। এ জলাবদ্ধতায় কৃষক মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরিফুল হাসান, ভারী বর্ষণে সেচ প্রকল্পের ভেতরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আমি বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছি। পাউবোর নিষ্কাশন খালগুলো সংস্কার করাই জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাওয়ার মূল উপায়। আমি এ বিষয়ে পাউবোর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, পাম্পের মাধ্যমে পানি দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাউবোর পানি নিষ্কাশন খালগুলো দখলমুক্ত ও সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।