প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুর শহরের বিপণীবাগ টিপটপ সেলুন কর্মচারী রাজু কর্তৃক নির্মমভাবে নিহত দধি ও মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী নারায়ণ ঘোষের ঘাতকের সঠিক বিচার চাইলেন ৩ সন্তান ও নিহতের স্ত্রী ঊষা রাণী ঘোষ।
১৮ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে নারায়ণ ঘোষের চাঁদপুর শহরের ঘোষপাড়াস্থ বাসভবনে গেলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। তার স্ত্রী-সন্তানদের আহাজারি যেনো থামছে না। মা তিন সন্তানকে নিয়ে বসে আছেন। এ যেনো পাখির ডানার নিচে সন্তানদের আশ্রয়। এমনভাবেই মা তার ৩ সন্তানকে ঘিরে ঘরে বসে শুধু আহাজারি করছেন।
২ ছেলে ও ১ মেয়ে বাবাকে হারিয়ে অসহায়। বাবা ছিলেন তাদের বটগাছ এবং সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করায় এখন তাদের বেঁচে থাকার স্বপ্নগুলো যেনো অসম্ভব হয়ে গেলো। দুটো ছেলেই এখনও বেকার। এতো তাড়াতাড়ি বাবাকে হারাতে হবে, তা যেনো তাদের কাছে কল্পনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন চোখ খুললেই দেখেন অন্ধকার। তিন সন্তান শুধু জানতে চান, বাবার কী অপরাধ ছিলো? যদি বাবা এমন কোনো অপরাধ করে থাকেন, তাহলে কি দেশের প্রচলিত আইনে বিচার করা যেতো না? একজন মানুষ অপরাধী হলেও কি তাকে এভাবে নির্মম হত্যার শিকার হতে হবে?
সন্তানদের উচ্চারণ : আমরা কিছু বলতে চাই না, আমরা শুধু বলবো, এই হত্যার মূল রহস্য কী? হত্যাকারী ঘাতকের সঠিক বিচার চাই।
অপরদিকে একইভাবে আহাজারির মাধ্যমে স্বামী হত্যার বিচার চাইলেন স্ত্রী ঊষা রাণী ঘোষ। তিনি বলেন, আমার তিন সন্তানকে যে বা যারা অসহায় করে দিলো সৃষ্টিকর্তা যেনো তাদের বিচার করেন। আমার শাঁখা-সিঁদুর যে কাইড়া নিলো তার বিচার ভগবান যেনো করেন। আমি যেনো সঠিক বিচার পাই। এতোটুকুই আমার চাওয়া। ভগবান আমার সংসারকে তছনছ করে দিছেন, আর যেনো কারো সংসার এভাবে তছনছ না করেন। একজন মানুষকে এতোটা নির্মমভাবে মারলো, এই সমাজে কি তার বিচার করবে না কেউ ? এভাবেই চলছে নারায়ণ ঘোষের স্ত্রীর আহাজারি।