প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
কচুয়ায় এমপিওভুক্ত হওয়ার আশায় বিনা বেতনে ২০ বছর শিক্ষকতা করে যাচ্ছেন ১৪ জন শিক্ষকসহ ৩ কর্মচারী। তাদের মধ্যে কামরুজ্জামান নামের এক শিক্ষক এখন মুদি দোকান দিয়ে সংসার চালাচ্ছেন। তিনি পৌরসভাধীন কোয়া-চাঁদপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক। গত দেড় বছরের বেশি করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় স্ত্রী, সন্তান ও পরিজন নিয়ে না খেয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছিলেন তিনি। আত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধবের পরামর্শে গত ১১মাস আগে গ্রামের বাড়ির পাশে মুদি দোকান খুলে বসেছেন। বর্তমানে ওই মুদি দোকানের আয় দিয়ে স্ত্রী, ৩ ছেলে ও বৃদ্ধ মায়ের মুখে হাসি ফুটানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
তিনি জানান, করোনার শুরুতে একবার প্রণোদনা পেলেও আর কোনো প্রণোদনা পাননি। মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে তিনি ওই মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে শিক্ষকতা করে যাচ্ছেন। কিন্তু সরকারের পালাবদল হলেও নানান কারণে মাদ্রাসাটি আজও এমপিওভুক্ত হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে বেতন-ভাতা না পাওয়ায় নিজ গ্রামে কোয়া-চাঁদপুর বাজারে মুদি দোকান পরিচালনা করে যাচ্ছেন।
তিনি আরো জানান, করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠান থেকে যে যৎ সামান্য বেতন দেয়া হতো তা বন্ধ হয়ে গেছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে কষ্টে কোনো রকম জীবন কাটাতে হয়েছে। কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে নিকটাত্মীয়দের সহযোগিতায় একটি মুদি দোকান দিয়েছেন।
তার মতো মাদ্রাসার আরো ১৩ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারী এমপিওভুক্ত হয়ে বেতন পাবেন এমন আশার আলো নিয়ে তারাও অপেক্ষার প্রহর গুণছেন।
মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোঃ জামাল হোসেন জানান, মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্তির জন্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সুপারিশ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত করা হলে শিক্ষকদের দুঃখ লাঘব হবে। এ ব্যাপারে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।