শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

শাহরাস্তিতে স্কুলের টয়লেট থেকে ১০ ঘন্টা পর বাক্প্রতিবন্ধী ছাত্রী উদ্ধার
মোঃ মঈনুল ইসলাম কাজল ॥

শাহরাস্তিতে স্কুলের টয়লেটে ১০ ঘন্টা আটকে থাকার পর বাক্প্রতিবন্ধী ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় জনগণ। শাহরাস্তি উপজেলার হোসেনপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ১৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার গত কদিনের মতো স্কুলে আসে এসএসসি পরীক্ষার্থী শারমিন আক্তার। বিদ্যালয় ছুটির কিছুক্ষণ পূর্বে সে বিদ্যালয়ের টয়লেটে যায়। এর মধ্যে ছুটির ঘন্টা বেজে উঠলে সকল শিক্ষার্থী বাড়িতে চলে যায়। বিদ্যালয়ের আয়া সাহানারা বেগমও টয়লেটে তালা লাগিয়ে বাড়িতে চলে যান। সকলের অজান্তে টয়লেটে আটকা পড়ে যায় শারমিন।

শারমিনের বাবা কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর হাজী বাড়ির আনোয়ার হোসেন তার মেয়ে বাড়িতে না আসায় খোঁজ-খবর নিতে শুরু করেন। তিনি শারমিনের সহপাঠীদের বাড়িতে গিয়ে তার মেয়ের কোনো সন্ধান না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। শারমিনের মা হাসিনা বেগম মেয়ের সংবাদ শুনে কুমিল্লা থেকে বাড়িতে চলে আসেন। এদিকে রাত ১০টার পর পার্শ্ববর্তী স্বর্ণকার পাড়ার আল-আমিন স্কুলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মোবাইল ফোনের আলোয় টয়লেটের ভেন্টিলেটরে হাত দেখতে পায়। সে ভয় পেয়ে তাৎক্ষণিক কয়েকজনকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে টয়লেটের তালা ভেঙ্গে শারমিনকে উদ্ধার করে। স্থানীয় আবুল কাশেম তার বাড়িতে নিয়ে তাকে প্রাথমিকভাবে সেবা দেন। উদ্ধারের পর শারমিনের বাবাকে সংবাদ দিলে তিনি ছুটে আসেন।

বিদ্যালয়ের আয়া সাহানারা জানান, বিদ্যালয় সাড়ে ১২টায় ছুটির পর তিনি ৪টায় টয়লেটে তালা লাগিয়ে দেন, তবে ভেতরে তিনি দেখেননি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমির হোসেন জানান, বিদ্যালয় ছুটি হয় ১২টায়। তবে দাপ্তরিক কাজ থাকায় তিনি সাড়ে ৪টায় শিক্ষকদের নিয়ে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। বিদ্যালয়ের টয়লেটটি সামনে থাকলেও তিনি কোনো কিছুই আঁচ করতে পারেননি। মেয়েটিকে উদ্ধারের সময় তার মুখে রক্ত দেখতে পায় স্থানীয় জনগণ। শারমিনের বাবা আনোয়ার হোসেন জানান, তার মেয়ের বই-পুস্তক শ্রেণীকক্ষে ছিলো। কোনো কিছু না দেখেই তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে টয়লেটে রেখে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার জানান, বিষয়টি তদন্ত করতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কারো গাফিলতি পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আহসান উল্লাহ চৌধুরী জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় জনগণ বিদ্যালয়ের অবহেলা ও অসচেতনতাকেই দায়ী করছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়