প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুর শহরের মিষ্টান্ন ও দধি ব্যবসায়ী নারায়ণ ঘোষ হত্যা মামলার প্রধান আসামী রাজু চাঁদপুরে বেশ কয়েক বছর পূর্বে আসলেও সঠিক সময়টি সহকর্মীসহ কেউই বলতে পারছে না। জন্ম ও পৈত্রিক সূত্রে রাজু কুমিল্লার সন্তান হলেও কয়েক বছর পূর্বে চাঁদপুরে কীভাবে বা কার মাধ্যমে এসেছে এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে চাননি।
বিপণীবাগ টিপটপ সেলুন মালিক কৃষ্ণা জানান, গত কয়েক বছর পূর্বে রাজু চাঁদপুরে এসে প্রথমে শহরের কালীবাড়ি মোড়ে একটি বিউটি পার্লারে কাজ নেয়। কিছুদিন পর বিউটি পার্লারের কাজ ছেড়ে দিয়ে সেলুনের কাজ পরিপূর্ণভাবে আয়ত্ত করে।
প্রথমে সেলুন কর্মচারী হিসেবে পালবাজার ব্রীজ সংলগ্ন পৌর মার্কেটের ২য় তলার একটি সেলুনে কাজ করাবস্থায় সদর উপজেলার দেবপুর শীল বাড়িতে বিয়ে করেন। তার স্ত্রীর নাম শিউলি। বিয়ের পর সংসারে টানাপোড়েন দেখা দিলে শ্বশুর পক্ষের সহায়তায় রাজুর স্ত্রী শিউলির চাচাতো ভাই কৃষ্ণার বিপণীবাগ মার্কেটের টিপটপ সেলুনে কন্ট্রাক্ট ভিত্তিতে কাজ করার প্রস্তাব দিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে কাজ শুরু করে। সর্বশেষ গত ১৬ সেপ্টেম্বর দধি ব্যবসায়ী নারায়ণ ঘোষকে হত্যার মধ্য দিয়ে সে এ সেলুনে কাজের পরিসমাপ্তি ঘটায়।
টিপটপ সেলুন মালিক কৃষ্ণা জানান, ঘাতক রাজু তার চাচাতো বোনের জামাই। এই সূত্রে সে সেলুনটিতে কাজ করে।
এদিকে ঘাতক রাজু ঘটনা ঘটিয়ে সেলুন থেকে বের হয়ে নিরাপদ গন্তব্যে রওনা দিয়ে সকাল ৮টার দিকে তার স্ত্রী শিউলির মোবাইল নাম্বারে কল দেয়। অন্যান্য দিনের চেয়ে এদিন রাজু তার স্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলার স্টাইলটি ছিলো খুবই আলাদা।
তার স্ত্রী কলটি রিসিভ করার পরই রাজু এই প্রান্ত থেকে স্ত্রী শিউলি কেমন আছে তা জানতে চায়। তখন স্ত্রী বলে, ভালো আছি। এমন কথাটি পুরো শেষ না করতেই, অপর প্রান্ত থেকে রাজু তার স্ত্রীকে অনুরোধ করে বলেন, সে যেনো সেলুন মালিক কৃষ্ণাকে জানায় রাতে রাজু সেলুন পরিষ্কার করেছে। শুধু সেলুনের গ্লাসগুলো কৃষ্ণা দা যেনো পরিষ্কার করে। এ কথাটির সাথে সাথে তার স্ত্রী শিউলিকে ভালো থেকো বলে ফোন বন্ধ করে। এরপর থেকে ফোন আর খোলা পাওয়া যায়নি।