প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
রাজুর বাবার খুনি রাজু! বাদীও রাজু!!
একজনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের
রক্তমাখা শার্ট প্যান্ট উদ্ধার
‘নামে নামে জমে টানে’, এটি একটি প্রবাদ বাক্য। আবার নামের মিল থাকার কারণে অনেকের জীবনে দিতে হয়েছে অনেক মাশুল। কিন্তু এবার নামের কারণে বিব্রত নিহতের পরিবার। গত ১৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার শহরের মিষ্টান্ন ও দধি ব্যবসায়ী নারায়ণ ঘোষকে হত্যা করে শহরের বিপণীবাগ পৌর মার্কেটের পাবলিক টয়লেটের পাশে পরিত্যক্ত স্থানে বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশ রেখে যায় খুনি।
|আরো খবর
পরবর্তীতে বাজারের নাইটগার্ড ইসমাইল হোসেনের বক্তব্য অনুযায়ী পুলিশসহ সকলে মোটামুটি নিশ্চিত হয় বিপণীবাগ টিপটপ সেলুন কর্মচারী রাজুই হচ্ছে নিহত নারায়ণ ঘোষের খুনি।
এদিকে নিহত নারায়ণ ঘোষের ২ ছেলের মধ্যে ছোট ছেলের নাম রাজীব ঘোষ রাজু। ফলে নামের বিষয়টি নিয়ে বিব্রত নিহতের পরিবার।
এদিকে নারায়ণ ঘোষ নিহতের ঘটনায় ছোট ছেলে রাজীব ঘোষ রাজু বাদী হয়ে টিপটপ সেলুন কর্মচারী রাজুকে ১ নাম্বার এবং অজ্ঞাতনামা আরো ক’জনকে আসামী করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং-৩০, তাং-১৬/৯/২০২১ খ্রিঃ।
এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মডেল থানার ইন্সপেক্টর (ইন্টেলিজেন্স এন্ড অপারেশন) মোঃ এনামুল হককে।
এ বিষয়ে ইন্সপেক্টর এনামুল হকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ঘটনার পর থেকেই বাজারের নাইটগার্ডের বক্তব্য অনুযায়ী এবং টিপটপ সেলুন কর্মচারী রাজুকে আটকের বিষয়ে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শুধু তাই নয়, জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মহোদয়দের পরামর্শে মামলার ১নং আসামীকে গ্রেফতারের সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেফতারপূর্বক ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে সক্ষম হবো।
এদিকে ঘটনার দিন আসামী রাজু সর্বশেষ সেলুন থেকে বের হয়ে গুয়াখোলাস্থ তার ভাড়া বাসায় এসে শার্ট-প্যান্ট পরিবর্তন করে দ্রুত পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। পুলিশ ঘটনার পর রাজুর ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে রক্তমাখা শার্ট প্যান্টসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করে। যদিও পুলিশ বলছে তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে কিছু বলা সম্ভব নয়।
একটি সূত্র জানায়, ঘটনার পরপরই পুলিশ সেলুন মালিক কৃষ্ণ, রাজুর স্ত্রী ও তার শ্যালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে থানায় নিয়ে আসে। এরপর রাত ৯টায় উল্লেখিত ৩ জনকে সংশ্লিষ্টদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। তবে প্রধান শর্ত ছিলো থানা পুলিশের ডাকে যে কোনো মুহূর্তে আসতে হবে। এ বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য হচ্ছে, প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে বা রহস্য উন্মোচনে আমরা অনেকের সাথে কথা বলতে পারি। অথবা কাউকে গ্রেফতার দেখিয়ে প্রয়োজনে পুলিশের জিম্মায় রাখতে পারি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে রাজুর স্ত্রীকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুনরায় থানায় ডেকে এনে কথা বলছেন বলে জানা গেছে। যদিও পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলেনি।