প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
আদর্শ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল চাঁদপুরের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের হাতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এই স্মারকলিপি প্রদান করেন আদর্শ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ মোজাম্মেল হক পাটোয়ারী, প্রভাষক ডাক্তার শেখ মহসীন, চাঁদপুর জেলা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক পরিষদ ও চাঁদপুর জেলা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ।
উক্ত স্মারকলিপিতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের প্রতি বরাবরই দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র চলে আসছে। যার শিকার প্রধানমন্ত্রী নিজেও। তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন যতই বাড়ছে ততই অত্যাধুনিক ও বিজ্ঞানময় চিকিৎসা ব্যবস্থা হোমিওপ্যাথির কদরও বাড়ছে।
মহামান্য হাইকোর্টে রিটকারীর আপত্তি বা আবেদন ছিল এমবিবিএস (এ.এম)দের নিয়ে। আর সেটি হলো বিএমডিসি অ্যাক্ট, ২০১০-এর অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু হোমিওপ্যাথি, ইউনানী ও আয়ুর্বেদি বিএমডিসি অ্যাক্ট, ২০১০-এর অন্তর্ভুক্ত নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গবেষণায় দেখেছে, অ্যালোপ্যাথির রাসায়নিক প্রভাবে মানব দেহে স্থূল মাত্রায় প্রয়োগের ফলে জীবনী শক্তি দুর্বল হয়ে যায়। যার প্রমাণ হচ্ছে, মানবদেহে এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ প্রয়োগের ফলে রোগীর দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এসবের ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করে এর বিকল্প হিসেবে অল্টারনেটিভ চিকিৎসা ব্যবস্থা অত্যাবশ্যক। এর গুরুত্বারোপের ফলেই বিশ্বব্যাপী অল্টারনেটিভ চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার প্রধানগণ কাজ করে চলেছেন। এ ক্ষেত্রে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আছেন অনেকদূর এগিয়ে। এ তথ্য এখন গোটা বিশ্বই জানে।
প্রাধনমন্ত্রীর ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তকে বানে ভাসিয়ে কাদের ফায়দায় মানব দেহ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে আমাদের ক্ষুদ্র জ্ঞানে তা বোধগম্য না হলেও এই বিষয়ে আপনি সর্বাধিক জ্ঞাত।
মহামান্য হাইকোর্টের রুল চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর অশনি সংকেত বলে আমরা ধারণা করি। আমরা যারা চার বছর মেয়াদের ডিএইচএমএস কোর্স সফলতার সাথে সমাপ্তির পর ছয় মাসের ইন্টার্নশীপ শেষে সরকারি হোমিওপ্যাথি বোর্ডে চিকিৎসক সনদের জন্য রেজিস্ট্রেশনের আবেদন করি, আর আবেদনের প্রেক্ষিতে যে রেজিস্ট্রেশন নাম্বারসহ সনদ প্রদান করা হয়, সেই চিকিৎসক সনদে সরকারি হোমিওপ্যাথিক বোর্ড থেকেই নামের আগে ডাক্তার লিখেই আবেদনকারীকে রেজিস্ট্রেশন সনদ দেওয়া হয়।
সর্বশেষ প্রার্থনা, আমরা যাতে নামের আগে ডাক্তার লিখতে পারি। হোমিওপ্যাথিক ডক্টর'স অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে তা অক্ষুণ্ন রাখার সর্বাত্মক সহানুভূতি কামনা করছি।