প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের জরাজীর্ণ দশা দীর্ঘদিন যাবৎ চলে আসছে। বার বার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েও নতুন ভবনের বরাদ্দ করানো সম্ভব হয়ে উঠেনি। তাছাড়া চরম ঝুঁকির মধ্যে অফিস কাজ চললেও এ পর্যন্ত গণপূর্ত বিভাগ ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা দেয়ার সুযোগ করতে পারেনি। স্বাধীনতা উত্তর ১৯৬৯ সালে দ্বিতল বিশিষ্ট এই ভবনটি নির্মাণ করার পর ক্ষুদ্র মেরামত ছাড়া বড় ধরনের কোনো মেরামত কাজ হয়নি। অতি গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড রুমে অল্প বৃষ্টিতেই ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ দলিল, নথিপত্রগুলো ভিজে বিনষ্ট হয়ে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও লোকজনকে। কর্মকতা-কর্মচারীদের কক্ষগুলো অবস্থানের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সাব-রেজিস্ট্রারের অবস্থানের কক্ষটির ছাদেও পলেস্তরা উঠে গিয়ে রড বের হয়ে থাকতে দেখা গেছে। তাছাড়া প্রতিনিয়ত খসে পড়ছে পলেস্তরা, কখনও দলিলের উপর আবার কখনও কর্মকর্তা/কর্মচারীদের মাথায়। যে কোনো মুহূর্তে ছাদ ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছে সংশ্লিষ্টরা। এ দপ্তরটিতে পদ সংখ্যার বিপরীতে ৬ জন জনবল দিয়ে চলছে অফিসের কাজ। শূন্য পদ না থাকলেও বিশাল উপজেলা হওয়ায় পদ সংখ্যা সৃজন পূর্বক জনবল বৃদ্ধি করা দরকার। অপরদিকে দিন-রাত লিখে চলছেন ৩৬ জন নকল নবিশ। নকল নবিশরা নিয়মিত বেতন প্রাপ্তির ও বেতন বৃদ্ধির দাবি দীর্ঘদিন করে আসছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সাব-রেজিস্টার আশ্রাফুল ইসলাম জানান, একাধিকবার জরাজীর্ণ দশা ও নতুন ভবনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আমি ও আমার পূর্বের কর্মকর্তারা চিঠি দিয়ে অবহিত করেছেন। এখন পর্যন্ত নতুন ভবনের বরাদ্দ আসেনি। শুধু তাই নয়, চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগকে জীর্ণ দশায় অফিস কার্যক্রম চালানোর ঝুঁকির বিষয়টি লিখিত ভাবে জানানোর পরও পরিত্যক্ত ঘোষণা দূরের কথা পরিদর্শনেও আসেনি কেউ।