প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুরে ‘চট্টগ্রাম লৌহ বিতান’ কর্তৃক বাংলাদেশ রেলওয়ের ৯টি রেললাইন অবৈধভাবে চুরি করে বিক্রি করার অপরাধে রেলওয়ে পুলিশ মূল হোতা মৃদুল চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ তাকে বৃহস্পতিবার ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে আদালতে পাঠালে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ১৪ সেপ্টেম্বর শেষ বিকেলে শহরের ৫নং ঘাট এলাকা থেকে চট্টগ্রাম লৌহ বিতানের মৃদুল চন্দ্র দাস ২৩ ফুট লম্বা ৭টি রেললাইন নতুনবাজার এলাকার পানামা ডকইয়ার্ডের মালিক মোঃ শাহজাহান বেপারীর নিকট ৯০ টাকা কেজি দরে ৯৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। বিক্রিকৃত রেললাইন ভ্যান যোগে নেয়ার সময় স্থানীয় জনতা হাতেনাতে আটক করে রেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জব্দ করে।
এ ঘটনায় চাঁদপুর এলসি-৯-এর দায়িত্বে থাকা মেইট মনমহন চন্দ্র বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ মৃদুল চন্দ্র দাস (৫৮)কে বুধবার ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ১০টায় শহরের নতুনবাজার পানামা ডক ইয়ার্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার করে রেলওয়ে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর বৃহস্পতিবার শেষ বিকেলে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিনভর এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করে স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা যায়, চাঁদপুর রেলওয়ে ৫নং ঘাট ও রেলওয়ের ডকইয়ার্ডের ভেতরে শুধু মাত্র ৭ পিচ রেললাইন নয়, রেললাইনের পাশে গুডস্ অফিসের নিকটে বিগত দিনে প্রায় ৫০ পিচেরও বেশি রেললাইন মজুত ছিলো।
রেল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে ২ হাজার কেজি রেললাইন বিক্রি করার এমন কোনো নিয়ম রেলওয়েতে প্রচলিত নেই। রেলওয়ের অব্যবহৃত রেললাইন বিভিন্ন স্টীল মিলের কাছে টনে টনে টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রির বিধান রয়েছে।
এ ব্যাপারে বুধবার চাঁদপুর রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মুরাদ উল্যাহ বাহার জানান, রেললাইন চুরির ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ৯টি রেললাইন উদ্ধার করা হয়েছে। একটি মামলার প্রেক্ষিতে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কারণে মৃদুল কান্তি দাসকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এখন তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। রেললাইনগুলো থানা হেফাজতে রয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত হয়েছে।