প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আলহাজ্ব ড. এ. কে. এম. মাহাবুবুর রহমান বলেছেন, কোরআন পড়ে সারা দুনিয়া জয় করা যায়। আজকে আমরা কোরআন পড়ি পরীক্ষায় পাস করার জন্য। শুধুমাত্র পরীক্ষায় পাস করার জন্য কোরআন না পড়ে দুনিয়া ও আখিরাতের কথা চিন্তা করে কোরআন শিখতে হবে। কারণ কোরআন পড়া সহীহ্ না হলে নামাজ হবে না। তিনি আরো বলেন, আমরা যদি কোরআনের পথে ফিরে আসতে পারি, তবে পরিবার, সমাজ, দেশ সকল কিছুতেই শান্তি আসবে ও পাপাচার থেকে মুক্তি মিলবে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ফরিদগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ২য় তলায় সহীহ্ শুদ্ধরূপে পবিত্র কোরআন শিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষার্থীদের ত্রৈমাসিক পরীক্ষা শেষে ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
হাফেজ মোঃ হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মুফতি এইচ. এম. আনোয়ার মোল্লা, মাদ্রাসার প্রধান মুহাদ্দিস আলহাজ্ব মাওলানা মমিনুল হক খান, ছানি মুহাদ্দিস মাওলানা নিজাম উদ্দিন নোমানী, উপজেলা কমপ্লেক্স জামে মাসজিদের খতিব মাওলানা ইউনুস, জেলা পরিষদের সদস্য মশিউর রহমান মিঠু ও মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে রমজান মাস থেকে শুরু হওয়া ৩টি বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেরা তিনজন করে মোট নয়জনকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার বিজয়ীরা হলেন : ক বিভাগে বিল্লাল হোসেন খান, জুবাইর হোসাইন ও হারুনুর রশীদ; খ বিভাগে শামীম হোসেন, হান্নান মিজি ও এমরান হোসাইন; গ বিভাগে সালাউদ্দিন সাইফ, খলিলুর রহমান ও হান্নান গাজী।
এছাড়া কোরআন শিক্ষার প্রশিক্ষক হুমাউন কবির, জাহিদ হোসেন, বেলায়েত হোসেন অতিথিদের কাছ থেকে সম্মানী গ্রহণ করেন। আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ শেষে দোয়ার আয়োজন করা হয়। এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক নুরুল ইসলাম ফরহাদ, শিমুল হাসান, ইকবাল হোসেন, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন মসজিদের খতিব ও পেশ ইমামগণ।
উল্লেখ্য, চলতি বছর রমজান মাস থেকে নিয়মিতভাবে প্রতিদিন বিভিন্ন বয়সী ৬১ জন শিক্ষার্থীকে ৩টি ব্যাচে বাদ এশা থেকে শুরু করে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত তিনজন প্রশিক্ষক দ্বারা নিয়মিত সহীহ্ শুদ্ধভাবে কোরআন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।