শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

চাকুরি দেয়ার নামে কৃষকের টাকা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের টালবাহানা!
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

মেয়েকে চাকুরি দেয়ার নাম করে নেয়া ২ লাখ টাকা ফেরত পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে হাজীগঞ্জের বড়কূল পশ্চিম ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক আঃ রহিম ভূঁইয়া। ২০১৮ সালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির হোসেন গাজীকে এ টাকা দিয়েছেন বলে আঃ রহিম জানিয়েছেন। তবে চেয়ারম্যান বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তার কাছে পুরাতন টিনের ঘর বিক্রির টাকা আমি পাওনা আছি।

আব্দুর রহিম ভূঁইয়া জানান, তিনি তিন মেয়ের জনক। সারাটা জীবন কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বড় মেয়েকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি দেয়ার জন্যে চেয়ারম্যান মনির হোসেন গাজীর সাথে কথা বললে তাকে ৫ লাখ টাকা দেয়ার জন্যে আমাকে বলেন। আমি ধার-দেনা করে ২ লাখ টাকা চেয়ারম্যানের হাতে তুলে দেই।

তর্তি ও লিখিত পরীক্ষায় মেয়ে টিকেনি আর চাকুরি না হওয়ায় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে টাকা ফেরত পেতে বারবার ধর্না দেই। কিন্তু চেয়ারম্যান টাকা না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে আঃ রহিম আরো বলেন, আমি অন্যের কাছ থেকে সুদে টাকা এনে চেয়ারম্যান মনির হোসেন গাজীকে ২ লাখ টাকা দিয়েছি। এর মধ্যে আমি মেয়ের বিয়েও দিয়েছি। এখন আমি সেই টাকার ঋণগ্রস্ত।

এদিকে পাওনা টাকা আদায়ের লক্ষ্যে চেয়ারম্যান মনির হোসেন গাজীকে উকিল নোটিশও দেন আব্দুর রহিম ভূঁইয়া। তিনি ২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর চাঁদপুর জজ কোর্টের অ্যাডঃ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ফরাজীর মাধ্যমে এই উকিল নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশে বলা হয়, চেয়ারম্যান তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিধি বৃদ্ধির জন্যে আব্দুর রহিম ভূঁইয়ার কাছ থেকে ২০১৮ সালের ১৮ মে ২ লাখ টাকা হাওলাত নেন। পরবর্তীতে নির্দিষ্ট সময়ের পর টাকা পরিশোধ না করে দেই-দিচ্ছি বলে কালক্ষেপণ করেন চেয়ারম্যান। এরপর ২০১৯ সালের পহেলা অক্টোবর এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আব্দুর রহিম ভূঁইয়া টাকা চাইলে চেয়ারম্যান টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করেন।

আব্দুর রহিমের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানান, ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন গাজী। তিনি বলেন, আমার একটি পুরানো বসতঘর ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা আব্দুর রহিমের মাধ্যমে তার জামাতার (মেয়ের জামাই) কাছে বিক্রি করি। পরে ঘর বিক্রি বাবদ সে নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং তার বেয়াই ও জামাতা ৮০ হাজার টাকাসহ মোট ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা আমাকে পরিশোধ করে। ঘর বিক্রির বাকী টাকা এখনো সে আমাকে দেয়নি।

অপর এক প্রশ্নে মনির হোসেন গাজী বলেন, পাওনা টাকা চাইতে গেলে আব্দুর রহিমের সাথে আমার বাক্-বিতণ্ডা হয়। যার সাক্ষী তার বেয়াই ও জামাতা। তাছাড়া নির্বাচনকে সামনে রেখে তার প্রতিপক্ষরা আব্দুর রহিমকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দাঁড় করানোর বৃথা চেষ্টা করছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়