প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
কোভিড-১৯-এর প্রভাবে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ। বন্ধের পর শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা ছিলো বিদ্যালয় খুলে দেয়ার। সরকার সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে ১২ সেপ্টেম্বরের পর স্কুল-কলেজের ছুটি আর বাড়ানো হবে না। স্কুল খোলার ঘোষণায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উৎফুল্ল। তবে এমন আনন্দদায়ক খবরের মাঝে দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। হাজীগঞ্জ উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের এই বিদ্যালয়টির ভবনের বেহাল দশার কারণে দুশ্চিন্তায় আছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনটি ভবন রয়েছে। তিনটির মধ্যে একটিতে অফিস কক্ষ ও শিশু শ্রেণির ক্লাস নেয়া হয়। বাকি ২টি ভবন জরাজীর্ণ এবং পরিত্যক্ত। জরাজীর্ণ একটি ভবনের ওপর ত্রিপল দিয়ে ঢেকে কোনোভাবে ক্লাস নেয়া হতো। কিন্তু দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বর্তমানে ক্লাস নেয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জরাজীর্ণ ভবনগুলোতে বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে। দরজা-জানালাও নেই কয়েকটিতে। শিক্ষার্থীদের বসার পর্যাপ্ত বেঞ্চও নেই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু ছাদেক চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, বিদ্যালয়টিতে ক্লাস নেয়ার উপযোগী মাত্র একটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। জরাজীর্ণ দুটি ভবনের মধ্যে একটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়ার জন্যে খুবই চিন্তিত।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু ছাইদ চৌধুরী জানান, কয়েকদিন আগে আমি বিদ্যালয়টিতে গিয়েছি। দুটি ভবনই জরাজীর্ণ এবং শ্রেণিকক্ষের সঙ্কট রয়েছে। আমরা এ বিদ্যালয়ের ভবন চেয়ে তালিকা পাঠিয়েছি।