শনিবার, ০২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

চাঁদপুর মাছঘাটের পরিস্থিতি

ছোট ইলিশের আমদানি বেশি ॥ বড়ো সাইজের কেজি ২ হাজার টাকা

স্টাফ রিপোর্টার ॥
ছোট ইলিশের আমদানি বেশি ॥ বড়ো সাইজের কেজি ২ হাজার টাকা

ইলিশের মৌসুম প্রায় শেষ পর্যায়ে। আর ১১দিন পর শুরু হবে নদ-নদীতে মা ইলিশ রক্ষার অভিযান। তখন নদীতে জাল ফেলা নিষিদ্ধ থাকবে। বর্তমান ভর মৌসুমে চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বড়ো স্টেশন মাছঘাটে বড়ো বড়ো ইলিশের আমদানি থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে তার দেখা মেলেনি।

গতকাল সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত চাঁদপুরের হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রচুর ছোট ছোট ইলিশ, যাকে স্থানীয়ভাবে কিশোর বা টেম্পু ইলিশ বলে। তারপরও এসব ইলিশ ধুম কেনাবেচা চলছে। স্থানীয় বাজার ছাড়াও সারাদেশে অফলাইন-অনলাইন এবং আড়তদারদের মাধ্যমে বাক্সবন্দি করে ক্রেতাদের পাঠানো হচ্ছে এই ছোট সাইজের ইলিশ।

এই বাজারের বিক্রেতারা জানান, এসব ছোট ইলিশ চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা ছাড়াও নোয়াখালীর হাতিয়া ভোলাসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকেও জেলেরা ধরে আনছে। আকারে ২০০ থেকে ৪০০ গ্রামের মাছই বেশি। আজকের বাজারে দেখা যায়, এসব ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৭ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা মণ দরে। তবে অধিকাংশ আড়তে ছোট ইলিশের পাশাপাশি কিছু বড়ো ইলিশও দেখা যায়। এর মধ্যে নোয়াখালীর হাতিয়াসহ দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ এক কেজি সাইজের বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ টাকা দরে। আর চাঁদপুরের লোকাল পদ্মা-মেঘনার ইলিশ ২ হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সুপ্রিম কোর্ট ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা করার নোটিস জারি করলেও তা বাস্তবায়ন দেখা যায়নি। দেশের বিভিন্ন বাজারে পাইকারি ইলিশ বিক্রেতা দেলু মিজি জানান, আজকে তিনি ১০০ মণ ছোট ইলিশ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠান। আকারে ৪ থেকে ৫ টায় এক কেজি। যার মণ প্রতি তার কেনা পড়ে ২৪ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে। ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০-৬০০ টাকায় খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

মাছঘাটের আড়তদার ও মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শবেবরাত বলেন, এ সময় ছোট ইলিশ থাকার কথা নয়। কারণ আর ১২ দিন পর মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের অভিযান শুরু হবে। তখন চাঁদপুরের পদ্মা- মেঘনা নদীতে কোনো ধরনের মাছ ধরা যাবে৷ না। কিন্তু প্রতিদিন বাজারে যে পরিমাণ ছোট ইলিশ দেখা যায়, আর অধিকাংশ ইলিশের পেটে ডিমও নেই। এতে আমরা চিন্তিত এই অভিযান নিয়ে।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আমিরুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতি বছর মা ইলিশ নিয়ে গবেষণা করে থাকি-- কখন কোথায় তারা ডিম দেয়, কোথায় কখন বড়ো হয়। তার ওপর নির্ভর করে এ বছরও আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২দিন মা ইলিশ রক্ষায় নদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। তবে বাজারে ছোট ইলিশের বিষয়ে বলবো, নদীতে সব ধরনের ইলিশ আছে। তাছাড়া অনেক জেলে কারেন্ট জাল ব্যবহারের কারণে এসব ছোট ইলিশ ধরা পড়ছে বলে মনে করি। এখনতো কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তারপরও আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়