শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি এলাকাবাসীর

রঘুনাথপুরে ডাকাতিয়ার ভাঙ্গন ॥ আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা

মিজানুর রহমান ॥
জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি এলাকাবাসীর

চাঁদপুর শহরের ৫নং ওয়ার্ডের পুরাণবাজার রঘুনাথপুর এলাকায় আবারো ডাকাতিয়া নদীর ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। চলতি বর্ষায় রঘুনাথপুর বাজারের মসজিদ, হাইস্কুল ও সরকারি প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন দক্ষিণ স্থান দিয়ে এলাকার বালুর বস্তার বাঁধসহ ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে প্রায় আড়াইশ’ মিটার জায়গা। ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন পার করছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা।

ওই এলাকার আলম গাজী বাড়ি, পাটোয়ারী বাড়ি, খান বাড়ি ও পণ্ডিত বাড়ির শতাধিক ঘর এখন ভাঙ্গনের মুখে। ওই স্থান দিয়ে ডাকাতিয়া নদীর সৃষ্ট ঘূর্ণিস্রোতে পাড়ের মাটি ধস অব্যাহত রয়েছে। এই এলাকা রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড যে বালুর বাঁধ দিয়েছিলো, সেই বস্তাগুলো স্রোতের ঘূর্ণনের কারণে দেবে যাচ্ছে। সেখানে নদীর গভীরতা বেশি এবং স্রোতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে আবারো ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। এই ভাঙ্গনের কারণে সেখানকার ইটখোলা ও ওয়াপদা (পাউবো), বেড়িবাঁধ পর্যন্ত এলাকাটি হুমকির মুখে।

রঘুনাথপুর ৫নং ওয়ার্ড আলম গাজী বাড়ির বাসিন্দা সাহেব আলী ও শরীফ জানান, ২০১৭ সাল থেকে অল্প অল্প করে ডাকাতিয়ার ভাঙ্গনের কবলে বিলীন হচ্ছে রঘুনাথপুরে আমাদের এলাকা। ইতোমধ্যে প্রায় ৬শ’ মিটার জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিছানো বস্তাগুলোও ভাঙ্গনে টিকছে না। ভাঙতে ভাঙতে ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে নদী। এখানকার বাড়ি-ঘর, রাস্তা, স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুবই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

রঘুনাথপুরে গিয়ে দেখা যায়, নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় হুমকিতে রয়েছে অনেক বসতভিটা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ওয়াপদার বেড়িবাঁধ রাস্তা। ভাঙ্গনরোধে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে বালুভর্তি ব্যাগ নদী তীরে ফেলছেন।

স্থানীয়রা জানান, ডাকাতিয়া নদীর উত্তর পাড়ে বড় আকারে চর, ডুবোচর রয়েছে। যার ফলে নদীর দক্ষিণ পাড়ে জোয়ার-ভাটার তীব্র স্রোতে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বা বিআইডব্লিউটিএ নদীর উত্তর পাড়ের চরগুলো ড্রেজিং করছে না, এ কারণে নদীর বিপরীত পাড়ে ভাঙছে।

চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার পৌর ৫নং ওয়ার্ডস্থ রঘুনাথপুর বাজার সংলগ্ন শেখ বাড়ি, খান বাড়ি, পণ্ডিত বাড়ি, গাজী বাড়ি ছাড়াও সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প (গুচ্ছগ্রাম), কাজী বাড়ি, লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড এলাকা, বালিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড এলাকা ঢালীরঘাট, পাটওয়ারী বাড়ি, বাগাদী ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকা ও শহরের ১১নং ওয়ার্ডের গুণরাজদী এলাকা তীব্র ভাঙ্গনের শিকার হচ্ছে। এসব এলাকার শত শত পরিবারের বসতঘর ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছে।

ভাঙ্গনরোধের ব্যবস্থা নিতে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা নির্বাহী প্রকৌশলীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভাঙ্গন কবলিত এই জনপদের মানুষ। স্থানীয়রা আশ্বাস নয়, চায় স্থায়ী প্রতিকার।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জহুরুল ইসলাম বলেন, আমরা ডাকাতিয়া নদীর ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছি। চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধ প্রকল্পে এ এলাকাটিও রয়েছে। নদীর তীরে ভাঙ্গন এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে এখানেও কাজ হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়