রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
  •   এক বছরের মধ্যে ইসরায়েলের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা
  •   হাজীগঞ্জের সকল মৃত্যুর খবরই গুজব!
  •   দিনমজুরকে জবাই করে হত্যা, ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
  •   অবশেষে চাঁসক সহকারী অধ্যাপক কামরুল হাছানকে বদলি

প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

কলেজে না এসেও বেতন তুলছেন আওয়ামী লীগ সভাপতির স্ত্রী!

আমি যা বলছি সেটাই বিশ্বাস করতে হবে : ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নেপাল চন্দ্র দেবনাথ

শামীম হাসান ॥
কলেজে না এসেও বেতন তুলছেন আওয়ামী লীগ সভাপতির স্ত্রী!

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর কলেজে পা পড়েনি তার। অথচ হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর হয়েছে যথারীতি। পেয়েছেন আগস্ট ২০২৪ মাসের বেতনও। ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নেপাল চন্দ্র দেবনাথের অশীর্বাদপুষ্ট এ রাজকীয় কর্মচারীর নাম মিস তানিয়া খাতুন। তিনি কলেজটির পাঠাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিভাগে কর্মরত আছেন। ইনডেক্স নং- সি ৩০০০১১৫। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারীর স্ত্রী হিসেবে গত ৭/৮ বছর ধরে তিনি এ সুবিধা পেয়ে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের একাধিক শিক্ষক কর্মচারী জানিয়েছেন, তানিয়া খাতুনের জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারী, ১৯৬৫ । সে হিসেবে তার বয়স ৬০ বছর চলমান। এমপিও নীতিমালা অনুসারে তিনি ৬০ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করার কথা। কিন্তু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারীর স্ত্রী হওয়ায় বিগত ৭/৮ বছর ধরে তিনি কলেজে না এসেই চাকরি করে গেছেন। কলেজের অধ্যক্ষরা (সাবেক ও বর্তমান) হাজিরা খাতা তার বাসায় পাঠিয়ে একসাথে 'কাজা' স্বাক্ষর আদায় করে আনতেন। ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের ইতিহাসে এমন রাজকীয় চাকরির সুযোগ আর কেউ পাননি।

ঘটনার বিষয়ে জানতে গ্রন্থাগারিক তানিয়া খাতুনের মোবাইল ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে তিনি কল রিসিভ করেও কথা বলেননি। এরপর কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নেপাল চন্দ্র দেবনাথের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিনি এখন পিআরএলে আছেন। পিআরএলে থাকাবস্থায় কলেজে আসা লাগে না। স্বাক্ষরও করা লাগে না। তাহলে স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হচ্ছে কেন? 'পিআরএল আবেদন না করেও তিনি কীভাবে পিআরএল সুবিধা পেতে পারেন' এমন প্রশ্নের সদুত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, আমি যা বলছি সেটাই বিশ্বাস করতে হবে। সরকারিকরণ প্রক্রিয়ার অধীনস্থ অবসরপ্রাপ্ত যে সকল শিক্ষক-কর্মচারী এমপিও নীতি অনুসারে ৬০ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে গেছেন তাদের পিআরএল কীভাবে হিসেব হবে? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তাদের কিছুই করার নেই। একই প্রক্রিয়ার অধীন তানিয়া খাতুনকে পিআরএলের কথা বলে অনুপস্থিত থাকা অবস্থায় যে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তা বৈধ কিনা? গ্রন্থাগারিক তানিয়া খাতুন কেন ৬০ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত অথবা সরকারিকরণ সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন না? এসব প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চির্কা চাঁদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ আবু জাফর মোহাম্মদ শামসুদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এমপিও বেতন গ্রহণ করা ব্যক্তির পিআরএলের বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করবো না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌলি মন্ডলকে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়