শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের পলাতক অধ্যক্ষের নামে বেতন বিল!

এমরান হোসেন লিটন ॥
গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের পলাতক অধ্যক্ষের নামে বেতন বিল!

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে পলাতক রয়েছেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হরিপদ দাস ও তার ভাগিনা অফিস সহায়ক সজীব দত্ত। কলেজে অনুপস্থিত থাকার পরও তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ না করে বিল স্বাক্ষর করে বরং তাদেরকে পুরস্কৃত করেছেন কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌলি মন্ডল। এদিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে কাউকে দায়িত্ব প্রদান না করায় অভিভাবক শূন্যতায় খুঁড়িয়ে চলছে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকসহ স্থানীয় সাধারণ মানুষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, সরকার পতনের পর থেকে অনুপস্থিত রয়েছেন অধ্যক্ষ ও তার ভাগিনা অফিস সহায়ক সজীব দত্ত। তাদের অনুপস্থিতিতে কলেজ পরিচালনায় নিয়মানুসারে কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি। তাছাড়া বহুবিধ অপকর্মের অভিযোগে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সভাপতি বরাবর শিক্ষকরা অনাস্থা দিয়েছেন। তিনি তা গ্রহণও করেছেন। কিন্তু কলেজের অচলাবস্থা কাটাতে এর বিপরীতে সভাপতি কোনো কার্যকর ব্যবস্থাগ্রহণ করেন নি। সভাপতির নির্দেশনা অনুসারে অধ্যক্ষ ও অফিস সহায়ক সজীব দত্তকে বাদ দিয়ে প্রথমে আগস্ট মাসের বিল প্রস্তুত করা হয়। পরবর্তীতে আবার তিনিই ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে অধ্যক্ষকে ও তার ভাগিনা অফিস সহায়ক সজীব দত্তকে বেতন শীটে সংযুক্ত করে বিল প্রদান করতে বলেন।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, অনুপস্থিত শিক্ষকের বিল করা সমীচীন নয়। একই বিষয়ে জানতে কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌলি মণ্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ১০৮টি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি। কোথায় কী হয় তা আমার মনে থাকে না। কলেজ থেকে জেনে নিন। তিনি আরো বলেন, এভাবে অনুপস্থিত থাকলে বেতন পাওয়ার কথা নয়। কিন্তু বেতন শীটে তার বেতন উত্তোলন না দেখাতে পারলে অন্য শিক্ষকদেরও বেতন দেয়া সম্ভব নয়, যার কারণে তাকে বেতন দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, কলেজে অনুপস্থিত থাকা, বিগত সময় আওয়ামী লীগ পরিচয়ে কলেজে একক আধিপত্য বিস্তার, অফিসকে দলীয় অফিসের ন্যায় ব্যবহার করা, নিয়োগ বাণিজ্য, অতিরিক্ত ফি আদায়, অর্থনৈতিক অস্বচ্ছতা ও অর্থ আত্মসাৎ, অভিভাবক লাঞ্ছনা, নারী কেলেঙ্কারি, কলেজ ফান্ডের অর্থ ব্যক্তিগত কাজে ব্যয় করা, কলেজ বাদ দিয়ে দলীয় কর্মকাণ্ডে সময় প্রদানসহ বিস্তর অভিযোগ এনে অধ্যক্ষ হরিপদ দাসের পদত্যাগের দাবিতে গত ১ সেপ্টেম্বর রোববার কলেজ প্রাঙ্গণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে মানববন্ধন করে কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়