প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
সফরমালী গরুর হাটের মালিক আজাদ খানের বিবৃতি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমদ মানিক ও তাঁর লোকজনের এক মাসের কার্যবিবরণী তুলে 'চাঁদপুর সমাচার' নামে একটি পোস্ট ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যে তালিকার ৮ নম্বরে সফরমালী গরুর বাজারের মালিক আজাদ খানকে জড়িয়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে "সফরমালী গরুর হাটের মালিক আজাদ খানের অফিসে শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের নির্দেশে যুবদল নেতা আক্তার, রিয়াদ, সেলিম মিজি তালা দেন। পরে পাঁচ লক্ষ টাকায় রফাদফা করে তালা খুলে দেয়া হয়।" উক্ত বিষয় নিয়ে সফরমালী গরুর বাজারের মালিক মোঃ আজাদ খান লিখিত এক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, আমি
সফরমালী গরু বাজারের মালিক মোঃ আজাদ খান। আমার সাথে কে কখন, কোথায় চাঁদা চেয়েছে ও বাজারের অফিসে তালা দিয়েছে তা আমি নিজেও জানি না। অথচ আমি নাকি ভুক্তভোগী! এই উদ্ভট তথ্য দেখে আমি রীতিমত অবাক ও হতভম্ব হয়েছি। এই ধরনের ভিত্তিহীন, গুজব, ভুয়া, মিথ্যা তথ্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি কাউকে কোনো চাঁদা দেইনি, এমনকি কেউ আমার নিকট চাঁদা দাবির জন্যে আসে নি। আমি সফরমালী গরুর বাজারের মালিক, অতীতে কখনো কাউকে একটি টাকাও চাঁদা দেইনি এবং ভবিষ্যতেও দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। কারণ এই বাজারের আয়কৃত অর্থের সহযোগিতা দিয়ে জেলার বহু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং অনেক অসহায় পরিবার চলছে। আর আমাদের বাজারের অফিসে কেউ তালা দেয়নি। অসৎ উদ্দেশ্যে এই মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে একটি মহল সামাজিকভাবে জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক সাহেব ও আমাকে এবং ঐতিহ্যবাহী সফরমালী বাজারকে কলুষিত করার অপচেষ্টা করেছে।
আপনারা সবাই অবগত আছেন, আমার পিতা চাঁদপুর-৩ আসনের দু’দুবার নির্বাচিত সাবেক সফল সংসদ সদস্য মরহুম আলহাজ্ব মো. হারুন-অর-রশিদ খান। চাঁদপুর ও মতলব উপজেলায় বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, স্কুল-কলেজের মাধ্যমে শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি সফরমালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান পদে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত অধিষ্ঠিত থেকে এলাকার শিক্ষা বিস্তারে ও উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। তিনি সফরমালী বাজারের প্রতিষ্ঠাতা। তারই ধারাবাহিকতায় বাজারের আয়ের অংশ দুঃস্থ মানবতার সেবা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উৎসর্গ করেছেন, যা এখন পর্যন্ত চলমান আমি রেখেছি। অদ্যাবধি প্রায় শতাধিক মসজিদ মাদ্রাসা ও এতিমখানা উক্ত আয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে এবং চাঁদপুর জেলার বাজারকেন্দ্রিক শত শত পরিবারের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে জীবন-জীবিকা পরিচালনা করে আসছে। যে বা যারা এই মিথ্যা ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করেছে, তাদের প্রতি আমার পূর্ণ ঘৃণা ও প্রতিবাদ প্রকাশ করেছি।
জিডি : ৪৮৪/২৪