প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
‘কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ’
গত ক’দিনের বৃষ্টিতে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প (সিআইপি) বেড়িবাঁধের ভেতর বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে বেড়িবাধেঁর অভ্যন্তরস্থ ঝিল, পুকুর ও ডোবাগুলো ডুবে গিয়ে চাষাবাদকৃত মাছ বের হয়ে খালে ও ভেতরের শাখা নদীতে চলে আসছে। এছাড়া চর বাগাদী পাম্প হাউজ (স্লুইস) গেট অভিমুখে নদীতে মাছ চলে আসছে ব্যাপকভাবে। এতে মাছ চাষীদের সর্বনাশ এবং অনেকে সর্বস্বান্ত হয়ে গেলেও গত তিনদিন এসব মাছ শিকার করার জন্যে বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন জাল ও টেঁটা নিয়ে এসে আনন্দ করে মাছ শিকার করে চলছেন। কেউ কেউ ছোট ছোট নৌকা দিয়ে গেট সম্মুখস্থ নদীর দুপাড়ে জাল দিয়ে ও টেঁটা দিয়ে মাছ শিকার করে চলছেন। এসব মাছ কেনার জন্যে শহর ও গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার নারী ও পুরুষরা ছুটে আসছেন। সকলেই স্লুইচ গেট ব্রীজে, আবার কেউ ব্রীজের দুপাড়ে মাছ কেনার জন্যে ভিড় করছেন। আবার কিছু লোকজন আসছেন মাছ ধরার দৃশ্য উপভোগ করার জন্যে।
অবস্থা এমন- কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ। মানুষের ভিড়ে ও গেট এলাকায় সড়কের দুপাশে মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা, অটোবাইক ও অন্যান্য যানবাহন রাখার কারণে ওইস্থানে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। অপরদিকে মানুষের চাপে ব্রীজ বা মাটি দেবে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটার উপক্রম হয়েছে। এ ব্যাপারে সচেতন মানুষ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ছবিগুলো গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় তোলা। ছবি ও প্রতিবেদন : সোহাঈদ খান জিয়া।