আওয়ামী লীগ বিভিন্ন জায়গায় মন্দির, ব্যবসা বাণিজ্যে হামলা করছে আর নাম দিচ্ছে বিএনপির

জাতীয়তাবাদ, সেবা, ঐক্য, প্রগতি--এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চাঁদপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ১৯ আগস্ট সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে আলোচনা সভা ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বিএনপি কার্যালয় সম্মুখস্থ সড়ক থেকে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌর ও ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের শত শত নেতা-কর্মীকে নিয়ে চাঁদপুর শহরে র‌্যালি ও আনন্দ মিছিল করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চিত্রলেখা মোড়ে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিল পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ একেএম সলিম উল্যাহ সেলিম।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, যে গণতান্ত্রিক প্রত্যয়ের জন্যে আমরা লড়াই করেছি, আমাদের এতো লোক শহীদ হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতা অকাতরে জীবন দিয়েছে, শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় দলের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে রাজপথে সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন, একটু ধৈর্য ধরেন, বিএনপি কিন্তু এখনো ক্ষমতায় আসেনি। আপনারা কোনো বিশৃঙ্খলা করবেন না। আওয়ামী লীগ বিভিন্ন জায়গায় মন্দির, ব্যবসা-বাণিজ্যে হামলা করছে আর নাম দিচ্ছে বিএনপির। আমরা বলতে চাই, এ দল শহীদ জিয়াউর রহমানের দল। আমরা কোনো অন্যায় অবিচারের সাথে নেই। আওয়ামী প্রেতাত্মারা সাবধান হয়ে যান। কোনো ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবে না। সকল ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। আর দলীয় নেতৃবৃন্দকে বলবো, আপনারা নিজের হাতে আইন তুলে নিবেন না।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হযরত আলী ঢালী। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ মাঝির সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক ইখতিয়ার উদ্দিন শিশু, শামছুল আলম সূর্য, সামছুল আরেফিন প্রমুখ।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউদ্দিন বাবলু, মুন্না, জুনায়েদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সহ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৮০ সালের এই দিনে দলের এই অঙ্গ-সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। তাই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একদিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে স্বেচ্ছাসেবক দল।

নেতৃবৃন্দ গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করেন। সেই সাথে গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার বিচারও দাবি করেন।

স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা এই আন্দোলনের সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা রাজপথ ছাড়বে না বলে জানান।