প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
ফরিদগঞ্জের কড়ৈতলী-শাশিয়ালী সড়ক
ইটের পরিবর্তে সড়কে ফেলা রাবিশ সরাচ্ছে ঠিকাদার
অবশেষে এলজিইডির নির্দেশ অনুসারে ইটের পরিবর্তে সড়কে ফেলা রাবিশ সরিয়ে নিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। এর আগে ‘সড়ক নির্মাণে অনিয়ম ও ইটের পরিবর্তে রাবিশ দিয়ে চলেছে সড়কের কাজ’ শিরোনামে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর দুই দফা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার কড়ৈতলী-শাশিয়ালী সড়কের।
এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের কড়ৈতলী বাজার থেকে দক্ষিণ শাশিয়ালী এমএ বারী মিয়াজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৬৩০ মিটার সড়কের পাকাকরণের কাজ করার দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএম ফাহাদ এন্টারপ্রাইজ।
স্থানীয়রা জানান, সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরুর পর থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নানা অনিয়ম করে চলছেন। সড়কের কাজ নির্মাণে তিনি ইটের পরিবর্তে রাবিশ ব্যবহার করলে চাঁদপুর কণ্ঠসহ বিভিন্ন পত্রিকায় এই নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর প্রথম দফায় নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশে সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কে ফেলা রাবিশ উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে সেখানে নিয়মানুযায়ী বালি ফিলিং করার অঙ্গীকার করেন। কিন্তু ঠিকাদার সুলতান আহমেদ সেই অঙ্গীকার রাখেননি। তিনি ওই রাবিশের উপর দিয়ে ম্যাকাডম করার কাজ শুরু করেন। ওই ঘটনাটির খবর আবারো চাঁদপুর কণ্ঠ ও যুগান্তরে প্রকাশিত হলে উপজেলা প্রকৌশলী নিজে সরেজমিন গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান এবং নির্মাণ কাজ আবারো বন্ধ রাখেন। পরবর্তীতে সড়কে ইতিপূর্বে ফেলা রাবিশ সম্পূর্ণ সরিয়ে নেয়ার শর্তে কাজ শুরু করতে ঠিাকাদারকে নির্দেশ দেন উপজেলা প্রকৌশলী। সেই মোতাবেক গত দুদিন ধরে পর্যায়ক্রমে নির্মাণাধীন সড়ক থেকে রাবিশ সরিয়ে নিতে দেখা গেছে ঠিকাদারের লোকজনকে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আমান উল্লাহ, মোস্তফা মিলন, ইউনুছসহ কয়েকজন বলেন, এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে স্কুল মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয়রা দীর্ঘদিন যাবৎ দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। আমরা চাই সড়কের দায়িত্বে যারা আছে, তারা সঠিক তদারকি করে আমাদের সড়কের কাজের গুণগতমান বজায় রাখতে সহায়ক হবেন।
কাজের বিষয়ে ঠিকাদার সুলতান আহাম্মেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলজিইডির নির্দেশ অনুসারে রাবিশ সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আবরার আহমেদ বলেন, কড়ৈতলী বাজার থেকে দক্ষিণ শাশিয়ালী এম এ বারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কে অনিয়মের কারণে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। রাস্তায় ফেলা রাবিশ সরিয়ে নেয়ার শর্তে তাকে আবারো কাজ শুরুর অনুমতি দিয়েছি।