প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
জাতীয় শোক দিবস পালন ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সভা
স্বাধীনতা বিরোধীরা চেয়েছিল গণভবন দখল করে সরকার উৎখাত করতে
-----------নাছির উদ্দিন আহমেদ
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বারবার ষড়যন্ত্র হয়েছে, ষড়যন্ত্র চলছে। নিজেরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে আওয়ামী লীগের ক্ষতি কেউ কোনোদিন করতে পারবে না। আমরা পোড় খাওয়া আওয়ামী লীগ। সমস্ত দ্বিধা-দ্বন্দ্ব-ভুল-ভ্রান্তি ভুলে গিয়ে দলের প্রতিটি নেতা-কর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে এবং করবে। চাঁদপুরে আমরা আক্রমণ করিনি, আমরা আক্রান্ত হয়েছি। জামাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এদেরকে কোনো অবস্থাতেই প্রশ্রয় দেয়া চলবে না, রুখে দাঁড়াতে হবে। এরা দেশের উন্নতি-অগ্রগতির অন্তরায় এবং দুষ্ট ক্ষত এটা প্রমাণিত।
৩০ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে শোকাবহ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উদযাপন প্রসঙ্গে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা ও বিবিধ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু নঈম পাটোয়ারী দুলালের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, সন্তোষ দাস, আব্দুর রশীদ সর্দার, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডঃ জহিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীর হোসেন পাটওয়ারী, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডঃ রুহুল আমিন সরকার, দপ্তর সম্পাদক শাহ আলম মিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু নাছের বাচ্চু পাটওয়ারী, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক বিল্লার হোসেন মজুমদার, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডঃ জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া মিঠু, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নূরুল ইসলাম মিয়াজী, উপদেষ্টা অ্যাডঃ রুহুল আমিন, সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মুনির আহমেদ, নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, হাজী আব্দুল লতিফ, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস, কবির আহমেদ, গাজী মাইনুদ্দিন, অ্যাডঃ বদিউজ্জামান কিরণ, বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লাল, কামরুজ্জামান মিন্টু প্রমুখ।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি সাম্প্রদায়িক রাজনীতি কখনো দেশের কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। এদের রুখতেই হবে। তারা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। স্বাধীনতার পর এতো বড় ঝাপটা আর কখনো আসেনি। তারা চেয়েছিল গণভবন দখল করে সরকার উৎখাত করতে। পরাজিত একাত্তরের খুনিরা তা পারেনি। আমাদের সরকার ও দলের মধ্যে অনেক ভুল-ভ্রান্তি-বিচ্যুতি আছে। দলকে সুসংগঠিত রাখতে হবে এবং যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় দলের প্রত্যেকে যার যার অবস্থান থেকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও নাশকতা চালিয়ে দেশে একটি অরাজকতাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করছে। এ রকম যে কোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও সরকার বিরোধী গুজব ছড়ানোর বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং এসব প্রতিহত করতে হবে।
সভাতে শোকাবহ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস যথাযথ সম্মান, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় উদযাপনসহ দলের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হয় এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্যে আহ্বান জানানো হয়।
সভার শুরুতে কোটা আন্দোলনকে ঘিরে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে রাষ্ট্রীয় শোক উপলক্ষে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সবশেষে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মোস্তাফিজুর রহমান।
সভাশেষে নাছির উদ্দিন আহমেদ ও দুলাল পাটওয়ারীর নেতৃত্ব জেলা নেতৃবৃন্দ দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে ‘কেন এই নৃশংসতা?’ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রেরিত লিফলেট জনসাধারণের মাঝে বিতরণ করেন।