প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
ঢাকায় সহিংসতায় চাঁদপুরের নিহতদের পরিচয়
কোটা বিরোধী আন্দোলনে চাঁদপুর উত্তপ্ত হলেও ঘটেনি প্রাণহানির ঘটনা। এখানকার ছাত্র আন্দোলনের উত্তেজনায় চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। আর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাসভবনে হামলা, ভাংচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কাজী ইব্রাহিম জুয়েলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা এবং তার দুজন আত্মীয়কে আহত করে রক্তাক্ত জখম করা হয়। তবে এ আন্দোলনকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় বহু মানুষ হতাহত হয়। ঢাকাতেই প্রাণ হারিয়েছে চাঁদপুরের অন্তত ১০ জন। যদিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্যমতে, নিহতের সংখ্যা ৯ জন। সারাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজমান থাকায় নিহতের পরিবারগুলো নীরবে লাশ দাফন করে ফেলে। নিহত পরিবারগুলোর সবাই দাবি করেন, তাদের সন্তান আন্দোলনের সাথে কিংবা সহিংসতার সাথে কোনোভাবেই জড়িত ছিল না। বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, নিহতদের মধ্যে সদর উপজেলার ৪ জন, মতলব দক্ষিণের ৩ জন, মতলব উত্তরের ২ জন এবং কচুয়ার ১ জন।
সদর উপজেলার যে চারজন নিহত হয়েছেন, তারা হলেন : মৈশাদী ইউনিয়নের হামানকর্দ্দি গ্রামের মোঃ সোহাগ তপাদারের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৭), লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের মোঃ জসিম রাজার ছেলে সাব্বির রাজা (১৮), একই গ্রামের সুলতান খানের ছেলে মোহাম্মদ রোহান খান এবং বালিয়া ইউনিয়নের মোঃ দেলোয়ার হোসাইন মিজির ছেলে আবু হোসাইন মিজি (২৬)।
মতলব দক্ষিণ উপজেলায় যারা নিহত হয়েছেন তারা হলেন : মতলব দক্ষিণের নোয়াগাঁও গ্রামের বাবলু পাটোয়ারীর ছেলে গোলাম রাব্বি (২৪), পিংরা বাজারের খলিলুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান মিলন ও উপাদি ইউনিয়নের দুলাল চন্দ্র দে-এর ছেলে সৈকত চন্দ্র দে।
মতলব উত্তর উপজেলার যারা নিহত হয়েছেন তারা হলেন : মতলব উত্তরের আমুয়াকান্দা গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাইমা সুলতানা (১৫) ও টরকী গ্রামের রজব আলীর ছেলে রাজিব মিয়া (২৭)। কচুয়া উপজেলার নিহত ব্যক্তি হলেন : তুলাতলী গ্রামের মোঃ কবির হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ হাসান (২১)।