প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৪, ০০:০০
কাঁচা মরিচের কেজি ২৪০ টাকা, মুরগি আগের দামেই
সপ্তাহ ব্যবধানে চাঁদপুরের বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে অন্তত ৮০ টাকা বেড়ে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির কেজি যথাক্রমে আগের ২১০ ও ৩৬০ টাকা দরেই বিক্রি হচ্ছে।
সবজির বাজার আগের মতোই চড়া। ২৪ মে শুক্রবার চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার, পুরাণবাজার, ওয়্যারলেস বাজার, বাবুরহাট বাজার, বিপণীবাগ বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভালো মানের কাঁচা মরিচের কেজি ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহেও ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে বলে মনে করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। দামের কারণে বিক্রিও কমেছে বলে জানান তারা।
এ নিয়ে পুরাণবাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা মনির বলেন, গত তিন সপ্তাহ ধরে কাঁচা মরিচের বাজার অস্থির। ৮০ থেকে ১০০ টাকার মরিচ এখন দেড়শ’-দুশত টাকা হয়েছে। চাহিদার তুলনার উৎপাদন কম থাকায় এমনটি হয়েছে। তবে দামের কারণে আমাদের বিক্রি অর্ধেকে নেমেছে।
শুক্রবার ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহেও একই দরে বিক্রি হয়েছিল। বাজারগুলোতে সোনালি মুরগি ৩৫০-৩৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিড ৩৩০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ৩৪০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সব ধরনের সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি বেগুন ৭০-৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০-৭০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৬০-৭০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা এবং কাঁচা আম প্রকারভেদে ৪০-৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ডাটা ও পাটের শাকের দাম কম আছে। ডাটার আঁটি ২০-২৫ টাকা ও পাটের শাকের আঁটি ১৫-২০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা এবং গাজর ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাঁচকলার হালি ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৭০ টাকা আর আলুর কেজি ৫৫ টাকা।
বাজারে গরুর মাংসের কেজি এখনো ৭৫০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে লাল ডিমের ডজন ১৫০ টাকা, হাঁসের ডিম ২০০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকা। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশের কেজি ১ হাজার ৮০০ টাকা। প্রতি কেজি চাষের শিং (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, মাগুর ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ২১০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৫০০ টাকা, বেলে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, বি আর-আটাশ ৫৫ থেকে-৫৮ টাকা, পাইজাম ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। মাঝারি মানের চিকন চালের কেজি ৭৫ টাকা। আর ভালো মানের চিকন চালের কেজি ৮০ টাকা।
বাজারগুলোতে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডাল। দেশি ও আমদানি করা মসুর ডাল ১৫০ টাকা, আমদানি করা মোটা ডালের কেজি ১২০ টাকা, ছোলার ডাল ১৩০ টাকা, অ্যাংকর ডালের কেজি ৯০ টাকা। আদার কেজি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা এবং রসুন ২২০ থেকে ২৪০ টাকা।