প্রকাশ : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
অবশেষে চাঁদপুরে শিশু পার্ক হচ্ছে
চাঁদপুর জেলায় বিনোদনের কোনো জায়গা নেই। খোলা আকাশের মানুষ যে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে সে রকম কোনো বিনোদন স্পট এই জেলায় নেই। ‘সবেধন নীলমণি’ এর মতো প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা বড় স্টেশন মোলহেডই এ জেলার একমাত্র বিনোদন স্পট। তাও সেখানে শুধু বসে থেকে কিছুক্ষণ সময় পার করা ছাড়া পর্যটক আকৃষ্ট করার মতো তেমন কিছুই নেই। শিশুদের বিনোদনের তো কিছুই নেই। এতো সমৃদ্ধ এবং পুরানো এই জেলায় একটি শিশু পার্ক নেই এটা জেলাবাসীকে ভাবিয়ে তোলে।
|আরো খবর
অবশেষে এই জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের চাহিদা, কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন একটি ‘শিশু পার্ক’ হচ্ছে। এটি আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত ‘চাঁদপুর শহরে একটি শিশু পার্ক হবে’-এটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। আর এটি এমন একটা জায়গায় হচ্ছে যা এর জন্যে খুবই উপযোগী স্থান। নদীর তীর ঘেঁষে যদি কোনো পর্যটন বা বিনোদন স্পট তথা শিশু পার্ক করা হয় সেটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যে কতটা উপভোগ্য হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। চাঁদপুর শহরের ডাকাতিয়া নদীর তীর ঘেঁষে হচ্ছে এই শিশু পার্ক। যে স্থানটিতে এখনই প্রতিদিন শত শত মানুষ অবকাশ যাপন করতে আসে। চাঁদপুর প্রেসক্লাবের পেছনে ডাকাতিয়ার পাড়ে বিশাল খোলা জায়গা নিয়ে হচ্ছে এই শিশু পার্ক। ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে এখানে ২.৭৯ একর ভূমি শিশু পার্কের জন্যে নির্ধারিত হয়ে গেছে। গতকাল চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে„ সদর এসি-ল্যান্ড মোঃ হেদায়েত উল্লাহ উপস্থিত থেকে শিশু পার্কের জন্যে নির্ধারিত ২.৭৯ একর সম্পত্তি মেপে সীমানা পিলার লাগিয়ে সেখানে সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দেন।
সরজমিনে দেখা যায় যে, শিশু পার্কের জন্যে নির্ধারিত জায়গাটির সীমানা হচ্ছে- পশ্চিমে ল’ কলেজের জন্যে নির্ধারিত জায়গার পূর্ব অংশ, পূর্বে আল-আমিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের বাউন্ডারির পশ্চিম অংশ, দক্ষিণে নদীর বর্তমান পাড়ের উঁচু অংশ এবং উত্তরে প্রেসক্লাবের জায়গার দক্ষিণ অংশ।
জানা গেছে, চাঁদপুর জেলা পরিষদ এবং জলবায়ু তহবিল, যৌথ অর্থায়নে চাঁদপুরের এই শিশু পার্ক নির্মিত হবে। এর জন্যে বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। তবে ডাকাতিয়ার তীরের এই জায়গাটি ছাড়াও আশপাশের কিছু জায়গাও শিশু পার্কের জন্যে নেয়া হবে বলে জানা গেছে।
ডাকাতিয়া নদীর পাড়ের এই জায়গায় শিশু পার্ক করার পরিকল্পনার কথা কয়েক মাস আগে কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীর কাছে আভাস দিয়েছিলেন চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনোয়ার হোসেন। তখন তিনি জানান, জেলা পরিষদ এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এখানে শিশু পার্ক করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কিন্তু এটির কাজ যে এতোটা দ্রুত এগিয়ে চলছে তা হয়তো ভাবনার মধ্যে ছিল না। গণমাধ্যম কর্মীরা তখন ভেবেছিলেন এমন উদ্যোগ এবং পরিকল্পনা অতীতেও বিভিন্ন সংস্থা থেকে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি আলোর মুখ দেখে নি। কিন্তু না। এবার অতীতের সকল ধারণা পাল্টে দিয়ে সত্যি আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত চাঁদপুর শিশু পার্ক।
গতকাল সদর এসি-ল্যান্ড উপস্থিত থেকে যে সাইনবোর্ডটি সাঁটিয়ে দেন, সেটিতে লেখা রয়েছে- ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের ১৭/০১/২০২৪ইং তারিখের ২০নং স্মারকের আলোকে শিশু পার্কের জন্য নির্ধারিত স্থান। জমির পরিমাণ ২.৭৯ একর’।