রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

প্রকাশ্যে নিধন ও বিক্রি হচ্ছে জাটকা

স্টাফ রিপোর্টার ॥
প্রকাশ্যে নিধন ও বিক্রি হচ্ছে জাটকা

পদ্মা-মেঘনায় বছরজুড়ে নিষিদ্ধ থাকলেও চাঁদপুরে প্রকাশ্যে নিধন ও বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছের পোনা জাটকা। আর এসব জাটকা বিভিন্ন দরে ক্রয় করছেন ক্রেতারা। মৎস্য বিভাগ বলছে, খুব শিগ্গিরই অভিযানে নেমে জাটকা ধরার ও বিক্রির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

১০ জানুয়ারি বুধবার সকালে চাঁদপুর শহরের পালবাজার, কালীবাড়ি মন্দির সংলগ্ন সড়কে প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রি করতে দেখা গেছে। এই শহরের পুরাণবাজার হরিসভা, রনাগোয়াল, দোকানঘর, বহরিয়া এলাকার একাধিক জাটকা বিক্রেতা জানান, তারা টেম্পু ইলিশ নামে পরিচিত এই জাটকা নদীর পাড়ের আড়তগুলো হতে এনে বাজারে বিক্রি করেন। এর মধ্যে একদম ছোট সাইজের জাটকা বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ৩২০টাকা এবং একটু বড় সাইজেরগুলো বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ৪৫০টাকা। তবে জাটকা দশ ইঞ্চির কম দৈর্ঘ্যরে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৭ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য হবে।

এছাড়াও গত ক’দিন শহরের পালবাজার এলাকা এবং ওয়্যারলেস বাজারে প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রি করতে দেখা গেছে একাধিক মাছ ব্যবসায়ীকে। তাদের কাছে কোনোভাবেই মনে হচ্ছে না জাটকা ধরা ও বিক্রি করা অপরাধ।

সূত্র জানায়, চলতি শীত মওসুমে চাঁদপুরের নদ নদীতে প্রচুর ইলিশ বিচরণ করছে। এদের বড় হবার সুযোগ না দিয়ে মৎস্য আড়তদার নিয়ন্ত্রিত জেলেরা কারেন্ট জাল ও কট সুতার তৈরি গুল্টি টানা জাল দিয়ে প্রকাশ্যে এই জাটকা ইলিশ মাছগুলো নিধন করে চলেছে। এ কারণে এখন প্রতিদিন নদীর পাড়ের বিভিন্ন আড়তে সকাল বিকাল ও সন্ধ্যা বেলায় জাটকা ক্রয় বিক্রয়ের যেন হাট বসে।

চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান জানান, বছর জুড়েই জাটকা ধরা নিষেধ। এছাড়া ইলিশ ডিম ছাড়ার পর নভেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে জুন মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত ৮ মাস জাটকা ধরা সম্পূর্ণ নিষেধ। এর মধ্যে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকাসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষেধ থাকে। জাটকা বিক্রির বিষয়টি আমারও নজরে এসেছে। চাঁদপুরের জেলেদের পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলের জেলেদের আহরণ করা জাটকা চাঁদপুরে বিক্রির জন্যে আসে।

চাঁদপুর সদর উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ তানজিমুল ইসলাম জানান, জাটকা ধরার খবর আমাদের কাছে এসেছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যস্ত ছিলো। এখন আমরা পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করবো। মৎস্য বিভাগ ছাড়া থানা পুলিশ এবং নৌপুলিশ যে কোনো সময় নিজেরাই অভিযান করতে পারেন। এক্ষেত্রে আইনে বলা আছে, উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদের এবং তার ওপরের পদের কর্মকর্তা মৎস্য বিভাগ ছাড়াই জাটকা আহরণকারী ও বিক্রেতাদের আইনের আওতায় আনতে পারবেন।

তিনি আরো জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে মৎস্য সংরক্ষণ সংক্রান্ত ভার্চুয়ালি একটি সভা ১০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মৎস্য বিভাগ, জেলা প্রশাসন ও নৌ পুলিশ যুক্ত ছিলো। এই সভার পরে আমরা অভিযানে নামার পরিকল্পনা রয়েছে। জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় শুধুমাত্র মৎস্য বিভাগ নয়, জনপ্রতিনিধি ও সচেতন নাগরিক এগিয়ে আসলে জাটকা অনেকাংশ রক্ষা পাবে। প্রতিবাদ হিসেবে আমাদেরকে জাটকা ক্রয় করা থেকেও বিরত থাকতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়