প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
হাজীগঞ্জে ২ গরু চুরিতে সর্বস্বান্ত দিনমজুর
দিনমজুর হারুন। অনেকটা নিঃস্ব। সহায় সম্বল বলতে গরু দুটি আর গায়ের শক্তি। মাঠে কাজ করতে গিয়ে গরুর জন্যে খড়কুটা কুড়িয়ে আনেন। তা দিয়ে গরুর খাবার জুটে। সেই দুটি গরুর প্রতি চোরের নজর পড়ে। চোরের দল দুটি গরুই চুরি করে নিয়ে যায়। গত বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে হাজীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত মোঃ হারুন মজুমদার। তিনি পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ড টোরাগড় গ্রামের মধ্য মজুমদার বাড়ির জিতু মজুমদারের ছেলে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময়ে চোর বা চোরের দল হারুন মজুমদারের বাড়ির সামনে থাকা গোয়াল ঘরের দরজার হ্যাজবোল্টসহ ৫টি তালা ও শিকল কেটে গাভী দুটি নিয়ে যায়। এর মধ্যে একটি গাভী লাল ও একটি সাদাকালো চিত্রা রংয়ের। লাল রংয়ের গাভীটি ১৫ দিন পূর্বে একটি বাছুর জন্ম দিয়েছিলো।
ক্ষতিগ্রস্ত হারুন মজুমদার জানান, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে গাভী দুটির গলায় পৃথকভাবে তালাবদ্ধ ও শিকল পেঁচিয়ে এবং গোয়াল ঘরের দরজায় ৩টি তালা দিয়ে তিনি বসতঘরে চলে আসেন। আসার সময় গরু দুটিকে খাবার দিয়ে লাল রংয়ের গাভীটির সদ্যজাত বাছুরটিকে সাথে নিয়ে আসেন। বুধবার ভোরে ফজরের নামাজের পর গোয়ালঘরে গিয়ে দেখি গরু দুটি নেই। চোরেরা গোয়াল ঘরের দরজার তিনটি তালা এবং গরু দুটির গলায় পেঁচানো শিকল ও দুটি তালাসহ মোট ৫টি তালা কেটে গরুগুলো নিয়ে গেছে। এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি জানান, গরু দুটির দাম আড়াই/তিন লাখ টাকা হবে।
ওই বাড়ির কবির মজুমদার বলেন, চার/পাঁচ বছর আগে একটি গাভী গরু কিনে লালন-পালন করেন হারুন মজুমদার। গাভীটি ১৫ দিন আগে একটি বাছুর জন্ম দিয়েছে এবং সেই গাভীর প্রথম বাছুরটি অনেক বড় হয়েছে। ওই বাছুরটিও কয়েকমাস পরে বাছুর জন্ম দিবে। অথচ এই সময়ে গাভী দুটি চোরে নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, তদন্তপূর্বক চোরদের চিহ্নিত এবং গাভী দুটি উদ্ধারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।