রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

মতলবে ন্যায়বিচার চান কৃষকরা

সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তার ঘুষকাণ্ডে তদন্ত কমিটি গঠন

রেদওয়ান আহমেদ জাকির ॥
সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তার ঘুষকাণ্ডে তদন্ত কমিটি গঠন

মতলবে সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা মোস্তফা কামালের ঘুষকাণ্ডে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয় এ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। মতলবের অসহায় কৃষকরা সঠিক বিচারের আশায় রয়েছে। ‘ঘুষ ছাড়া মিলছে না কৃষিঋণ, মতলবে সোনালী ব্যাংক শাখায় কৃষিঋণ বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ’ শিরোনামে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে সংবাদ প্রকাশিত হয় এবং পরদিন ওই পত্রিকায় সম্পাদকীয় কলাম হয়। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে কুমিল্লা সোনালী ব্যাংকের এজিএম কাজী সৈয়দুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। চাঁদপুর শাখার ডিজিএম ফারুক হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কৃষিঋণ গ্রহণকারী ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিন ও আলমগীর হোসেন জানান, ঋণ বিতরণকারী কর্মকর্তা আমাদের কাছ থেকে ঘুষের টাকা নিয়েছে। তা লিখিতভাবে তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট জানিয়েছি।

সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মোঃ মফিজ উদ্দিন জানান, গত শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সোনালী ব্যাংক মতলবগঞ্জ শাখায় গিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। তদন্তে ভুক্তভোগী কৃষকদের কাছ থেকে কৃষি ঋণ প্রদানকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে থাকা তাদের (কৃষক) অভিযোগ লিখিতভাবে নেয়া হয়। সরাসরি ব্যাংক কর্মকর্তা ও অভিযোগকারীদের সাথে কথা হয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তা বিষয়টি অস্বীকার করেছে। অভিযোগকারীরা লিখিত অভিযোগ করেছেন।

সোনালী ব্যাংক মতলব শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার জোবায়েদ উল্লাহ জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্তাধীন। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি বিষয়টি দেখবেন।

চাঁদপুর সোনালী ব্যাংক শাখার ডিজিএম ফারুক হাসান বলেন, এজিএমকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত চলমান। দোষী সাব্যস্ত হলে ব্যাংকের বিধি মোতাবেক সর্বোচ্চ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

ব্যাংকে কর্মরত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল কৃষকের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

উল্লেখ্য, মতলব সোনালী ব্যাংকের কৃষিঋণ বিতরণ কর্মকর্তা মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে ঋণ বিতরণে ঘুষ নেয়ার বিষয়ে অভিযোগ ওঠেছে। ৫০ হাজার টাকার কৃষি ঋণ পেতে তাকে ১৩ হাজার ৫০০ টাকার ঘুষ দিতে হয়েছে। ঘুষের টাকা হাতে কেটে রেখেই ঋণ বিতরণ করেছেন সোনালী ব্যাংক মতলবগঞ্জ শাখায়। মোস্তফা কামাল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দালালের মাধ্যমে ঘুষের টাকা আদায় করেছেন। মতলব পৌরসভার নবকলস গ্রামের জসিম উদ্দিন, আলমগীর ও ইসমাইলসহ অসংখ্য ভুক্তভোগী কৃষক ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে অভিযোগ করেন। ঘুষ দিতে অস্বীকার করায় ঋণ পাননি একই গ্রামের ইসমাইল হোসেন। পরোক্ষভাবে বিষয়টি ব্যাংক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল স্বীকারও করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়