ফরিদগঞ্জে নৌকা-ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ : গাড়ি ভাংচুর গুলিবর্ষণ ॥ আটক ১

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনের অধিকাংশ কেন্দ্রে রাত থেকে ভোটগ্রহণের শেষ পর্যন্ত ককটেল বিস্ফোরণ, নৌকা ও ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে দুটি কেন্দ্রে সংঘর্ষ, ভোটগ্রহণ বন্ধ, পুলিশের মোবাইল টিমের গাড়ি ভাংচুর, পুলিশের গুলিবর্ষণ, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার এবং ১ জন আটকের ঘটনা ঘটেছে। ৭ জানুয়ারি রোববার উপজেলার ১১৮টি কেন্দ্রের মধ্যে বেশ ক’টি কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের মুন্সিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ১১টার দিকে কেন্দ্রের বাইরে নৌকা ও ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রিজাইডিং অফিসার নেছার আহমেদ জানান, দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে কেন্দ্রের জানালা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি প্রতিকূলে হওয়ায় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরে বেলা ৩টা ১০ মিনিটে ভোট পুনরায় শুরু হয়।

এদিকে বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের শোসাইরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিকেল ৩টার দিকে নৌকার সমর্থকরা ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় নৌকা ও ঈগল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ৩জন আহত হয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশের মোবাইল টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। তবে এই সময়ে পুলিশের গাড়িটি ভাংচুরের শিকার হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে দুই রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। নৌকার সমর্থকরা এই ঘটনার জন্যে ঈগলের সমর্থকদের দায়ী করেন।

বালিথুবা আঃ হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা ও ঈগল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এদিকে পৌরসভার পূর্ব বড়ালি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা সমর্থকদের হাতে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার সারোয়ার হোসেন লাঞ্ছিত হয়।

উপজেলার চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের বিষটাকালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিজিবি আরিফ নামে একজনকে আটক করে এবং তার কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।

এদিকে পৌরসভার মিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটের আগের দিন রাতে দুর্বৃত্তরা ভোট কেন্দ্রে ও ভোটসামগ্রী বহন করা গাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। এতে গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বলে প্রিজাইডিং অফিসার নিশ্চিত করেছেন।