প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
কোনো কোনো আসনে নৌকার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্ররা
আজ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ভোটগ্রহণের ২-১ দিন আগে ট্রেনে আগুন, বাসে আগুন ও ভোটকেন্দ্রে আগুনসহ কিছু নাশকতামূলক ঘটনায় নিরীহ ভোটারসহ সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজমান। এই আতঙ্ক কাটিয়ে কেন্দ্রে কেমন ভোটার আসে সেটাই দেখার বিষয়।
চাঁদপুরের পাঁচটি আসনে ৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটযুদ্ধে নৌকার প্রতিপক্ষ হিসেবে বিভিন্ন দলের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন নৌকা বঞ্চিত একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা। এদের মধ্যে স্বতন্ত্র কিছু প্রার্থী শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলার শক্তি দেখাতে পেরেছেন। সেজন্যে চাঁদপুর-১ (কচুয়া) ছাড়া অন্য ২-১টি আসনে স্বতন্ত্র কারো বিজয়ী হবার ঘটনা ঘটলে অবাক হবার কিছু থাকবে না। ভোটের মাঠে স্বতন্ত্ররা নৌকা, ঈগল, ট্রাক প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। পাশাপাশি আছেন লাঙ্গল, মিনার, গোলাপ ফুল, মোমবাতি, মশাল, ফুলের মালাসহ অন্য প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।
চাঁদপুর-২ (মতলব দক্ষিণ ও মতলব উত্তর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ঈগল প্রতীকের এম. ইসফাক আহসানের তৎপরতা ছিলো লক্ষ্যণীয়। সেজন্যে তিনি প্রচুর ভোট পেতে পারেন। মতলব দক্ষিণে তার ভোটপ্রাপ্তি হতে পারে উল্লেখযোগ্য।
চাঁদপুর-৩ (চাঁদপুর সদর-হাইমচর) আসনে আওয়ামী লীগের ডাঃ দীপু মনির নৌকা মার্কার বিপরীতে ভোটে লড়ছেন একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া (ঈগল) ও মোঃ রেদওয়ান খান বোরহান (ট্রাক)। ভোটাররা বলছেন, মূলত এ তিন জনের মধ্যেই হবে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হবার লড়াই। অন্য দলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট মোঃ মহসীন খান (লাঙ্গল), বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের আবু জাফর মোঃ মাঈনুদ্দিন (মোমবাতি), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মোঃ মিজানুর রহমান (ফুলের মালা) ও জাকের পার্টির মোঃ কাওছার মোল্লা (গোলাপ ফুল)। এদের মধ্যে মোমবাতির প্রচারণা ছিলো চোখে পড়ার মতো। আর লাঙ্গল ছিলো নিষ্প্রভ। সেজন্যে লাঙ্গলের সমর্থকরা নৌকার পক্ষে কাজ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের সাংবাদিক মুহম্মদ শফিকুর রহমানের সঙ্গে হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া (ঈগল)। এছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ড. মোহাম্মদ শাহজাহান (নোঙ্গর), জাতীয় পার্টির সাজ্জাদ রশিদ (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র জালাল আহমেদ (ট্রাক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আব্দুল গনি (আম), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী (ফুলের মালা) ও তৃণমূল বিএনপির মোঃ আব্দুল কাদের (সোনালী আঁশ)। এ সকল প্রার্থীর মধ্যে নোঙ্গর, ঈগল ও ট্রাকের নির্বাচনী তৎপরতা ছিলো চোখে পড়ার মতো। কথিত আছে, ট্রাক প্রতীক না থাকলে ঈগল প্রতীক নৌকাকে নাড়িয়ে দিতে পারতো।
চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগেরই শীর্ষ নেতা গাজী মোঃ মাঈনুদ্দিন (ঈগল) ও মোঃ শফিকুল আলম (ট্রাক)। এছাড়া দলীয় প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ-এর সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী (চেয়ার), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী (ফুলের মালা), জাসদের মনির হোসেন মজুমদার (মশাল) ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের আক্তার হোসেন (ছড়ি)। এই আসনে নৌকার মেজর রফিকের সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলার আভাস পাওয়া গেছে। তবে ঈগল হাজীগঞ্জে এবং ট্রাক শাহরাস্তিতে ভোট প্রাপ্তিতে চমক দেখাতে পারে।