প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
দীপু মনি চাঁদপুরের জন্যে আশীর্বাদ ॥ টানা চতুর্থবার এমপি হচ্ছেন
ডাঃ দীপু মনিকে চাঁদপুরবাসী আশীর্বাদ হিসেবে দেখছেন। টানা তিনবারের এমপি, দুইবারের মন্ত্রী তিনি। আর এবার নির্বাচিত হলে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য হওয়ার রেকর্ড গড়বেন তিনি। যা বিগতদিনে চাঁদপুরের কোনো আসনে এই রেকর্ড নেই। দীপু মনি সংসদ সদস্য হয়ে নিজ এলাকায় যে কতটা ঘনিষ্ঠভাবে সময় দিয়েছেন, এলাকার জনগণকে যে তিনি কতটা আপন করে নিয়েছেন তা বিগতদিনের ভোটের হিসেবেই বলে দেয়। চাঁদপুর-হাইমচরবাসীর সাথে যেনো তাঁর নাড়ীর সম্পর্ক হয়ে গেছে। এই জনপদের মানুষগুলোকে দীপু মনি নিজের পরিবারের সদস্য মনে করেন। তাই তো তাদের সুখ দুঃখে সবসময় তাদের পাশে থাকেন। আর দীপু মনিকেও চাঁদপুর-হাইমচরবাসী তাদের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে দেখছেন।
২০০৮ সালে ডাঃ দীপু মনি প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হোন। তাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়। যা বাংলাদেশ তো বটেই, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই পাঁচ বছর চাঁদপুর হাইমচরকে নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় স্থায়ী বাঁধ দেন। দেড়শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র করা হয়। চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের ব্যাপক উন্নয়নসহ রি-মডেলিং করা হয়। যা স্বাধীনতার পর এই প্রথম। আরো বহু উন্নয়ন কাজ করা হয়। এসব উন্নয়নের জন্য দীপু মনি মানুষের মন জয় করে নেন। সে জন্য ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেতে তাঁর তেমন কোনো বেগ পেতে হয় নি। এবারো তাই। সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে দীপু মনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীক পান। একাদশ সংসদের এমপি হয়ে দীপু মনি শিক্ষামন্ত্রী হোন। সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়ন করেন। শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটান। চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, মেরিন একাডেমি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ডাঃ দীপু মনির উন্নয়নের মাইলফলক। এতোসব উন্নয়নের জন্যে চাঁদপুর-হাইমচরবাসী ডাঃ দীপু মনিকে আশীর্বাদ হিসেবে দেখছেন। তারা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী দীপু মনি এবারো নির্বাচিত হবেন। আর তা হবে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য হওয়ার রেকর্ড।