প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর : মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ভাবনা-১৩
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সঞ্চারে আমার কলমকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারি
-----আমির খসরু
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আমির খসরু বলেছেন, বর্তমান প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরা এবং আমাদের চেতনাবোধের জায়গাগুলোকে আরও শাণিত করা দরকার। তা না হলে একদিন আমরাই আমাদের ইতিহাস ভুলে যাবো। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সঞ্চারে আমি আমার জায়গা থেকে সোচ্চার হতে পারি। আমি একজন সাংবাদিক হিসেবে আমার কলমকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারি। সেক্ষেত্রে যেখানে অস্ত্রের যুদ্ধ শান্তি আনতে না পারে, সেখানে আমি আমার কলমকে অস্ত্র হিসেবে ধরে তরুণ প্রজন্মের কাছে আমাদের গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে পারি। এক্ষেত্রে আমি প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে কাজে লাগাতে পারি।
বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে চাঁদপুর কণ্ঠের ধারাবাহিক সাক্ষাৎকার প্রতিবেদন ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ভাবনা’য় আমির খসরু আরো বলেন, আমার বাবা মোঃ মনির হোসেন প্রধান ছিলেন এদেশের সূর্য সন্তান। পৃথিবীতে অনেক পেশার মানুষ আসবে, যাবে কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধা আর আসবে না। আমার বাবা দেশের জন্যে যে ত্যাগ তিতিক্ষা স্বীকার করেছেন তা বিশ্বে বিরল। জনাব আমির খসরুর বাকি কথাগুলো নি¤েœ পত্রস্থ করা হলো :-
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার বাবা (যিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা)-এর নাম ও সংক্ষিপ্ত পরিচয় কী? তিনি কোথায় যুদ্ধ করেছেন?
আমির খসরু : আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মনির হোসেন প্রধান। তাঁর পিতা মৃত আলী আকবর প্রধান, সাং-বাইশপুর, পোঃ মতলব, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর। তাঁর গেজেট নং-২২৯৪, মুক্তিযোদ্ধা নম্বর-০১১৩০০০৪৪৩০। তিনি মতলবে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন এবং এ উপজেলার নাগদা এলাকায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন।
চাঁদপুর কণ্ঠ : মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আপনার অনুভূতি কী?
আমির খসরু : একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমি অনেক গর্বিত ও আহ্লাদিত। বাবা তাঁর তারুণ্য ও জীবন বাজি রেখে দেশের জন্যে কাজ করেছেন। এমন একজন বাবার সন্তান হয়ে যদি গর্ব না করি তবে গর্ব করার জায়গা আর কোথায়?
চাঁদপুর কণ্ঠ : মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সঞ্চারে আপনার করণীয় কী কী হওয়া উচিত বলে মনে করেন?
আমির খসরু : পরাজিত শত্রুদের দোসরদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মকে তৈরি করার জন্যে বর্তমান প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। বিদ্যালয় ও কলেজের পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অধ্যায় রাখা দরকার বলে আমি মনে করি। ডিজিটাল বাংলাদেশে জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধের ছোট ছোট ঘটনাকে ডকুমেন্টারি হিসেবে তৈরি করে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে ছড়িয়ে দিতে হবে।
মতলব প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সভাপতি হচ্ছেন আমির খসরু। তিনি একজন ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার। তিনি বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। তার মাতা রাজিয়া খাতুন একজন গৃহিণী। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই পুত্র সন্তানের জনক। বড় ছেলে মাহের হোসেন রাহিম, ছোট ছেলে মাহবির হোসেন রাওহি। তাঁর স্ত্রী হাসনেয়ারা আক্তার বাবুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।